হাওর ডেস্ক ::
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৭০৬ জন। একইসময় সুস্থ হয়েছেন ১৩০ জন। আর এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৪২৫ জন। তবে জানানো হয়নি মৃত্যুর তথ্য।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বুলেটিন প্রকাশে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয় ছয় হাজার ৩৮২টি। আর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে পাঁচ হাজার ৮৬৭টি। এর মধ্যে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে ৭০৬ জনকে। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৪২৫ জন। আর এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক লাখ পাঁচ হাজার ৫১৩টি।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৩০ জন করোনা রোগী। এ নিয়ে এ পর্যন্ত এক হাজার ৯১০ জন সুস্থ হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে বুলেটিনে।
ডা. নাসিমা জানান, করোনা সন্দেহে নমুনা পরীক্ষার জন্য গতকাল বুধবার (৬ মে) পর্যন্ত সারা দেশে ল্যাব ছিল ৩৩টি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে উচ্চতর বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে মোট ৩৪টি ল্যাবে।
আইসোলেশন প্রসঙ্গে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরো ১৬০ জনকে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত আইসোলেশনে আছেন এক হাজার ৭৭১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে মুক্ত হয়েছেন ৪৩ জন এবং এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৯৫০ জন। সারা দেশে আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ৯ হাজার ৬৩৮টি। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে তিন হাজার ৯৪৪টি এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে আছে পাঁচ হাজার ৬৯৪টি।
কোয়ারেন্টিন প্রসঙ্গেও তথ্য দেওয়া হয় বুলেটিনে। বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন দুই হাজার ৩৩১ জন। এ ছাড়া গত একইসময় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৯৬৭ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে গেছেন দুই লাখ চার হাজার ৩১ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক লাখ ৬৩ হাজার ৫২৮ জন। ছাড়ের পর বর্তমানে হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪০ হাজার ৫০৩ জন।
সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৬১৫টি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ৩০ হাজার ৯৫৫ জনকে সেবা প্রদান যাবে।
বুলেটিনে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়ন এবং আইইডিসিআর’র হটলাইনে কল এসেছে এক লাখ ৪৩ হাজার ৪২২টি। এসব কলে সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত হটলাইনে ৪২ লাখ ৪৭ হাজার ৩৬৭ জনকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সেবা প্রদানকারী চিকিৎসকদের প্রসঙ্গে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা বেড়েছে আরো ১৫ জন। এ নিয়ে এখন মোট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫ হাজার ৬৫৩ জন। এ ছাড়া বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন চার হাজার ৫০ জন চিকিৎসক।