বিশেষ প্রতিনিধি::
সরকার আজ ১০ মে থেকে সারাদেশে সীমিত আকারে সব ধরনের দোকান-পাট খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলা ও গ্রামীণ হাটবাজারও এই নির্দেশনায় দোকান পাট খুলেছে। কিন্তু ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে সুনামগঞ্জ পৌর শহরে। পৌর এলাকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীরা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের লক্ষ্যে আজ শহরের কোন দোকান-পাট খুলতে দেননি। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তারা শহরের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে এ বিষয়ে প্রচারণা চালান। যারা এসময় দোকান খুলেছিল তাদের দোকানও বন্ধ করে দেন। আগামী ১৫ মে এর পরে দোকান খুলার বিষয়ে স্থানীয়ভাবে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে তারা ব্যবসায়ীদের জানান।
জানা গেছে সরকারি নির্দেশনার পরই শহরসহ বিভিন্ন উপজেলা ও গ্রামীণ হাটবাজার খুলতে শুরু করে। ফলে বাজারে ক্রেতা বিক্রেতাদের ভিড় বাড়ে। এ নিয়ে স্থানীয় সুধী ও সচেতন মহলে উদ্বেগ লক্ষ্য করা যায়। এতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এই অবস্থায় গত ৬ মে সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের ডাকে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন জরুরি বৈঠকে বসে প্রথমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান পাট খুলার সিদ্ধান্ত নেয়। এই খবরে বিভিন্ন স্থানেই দোকান-পাট খুলা শুরু হলে বাজারে হঠাৎ ভিড় বাড়ে। বিভিন্ন দোকানে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে ব্যবসায়ীরা গত ৯ এপ্রিল আবার সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সে জরুরি সভায় বসেন। সভায় জেলা শহরের চেম্বার অব কমার্সের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হন। দীর্ঘ আলোচনার পর তারা সিদ্ধান্ত নেন আগামী ১৫ মে পর্যন্ত দোকান-পাট বন্ধ থাকবে। পরবর্তীতে বাস্তব অবস্থায় পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নিবেন।
এদিকে সরকারি ঘোষণার কারণে কোন ব্যবসায়ী যাতে দোকান পাট না খুলতে পারেন সে জন্য সুনামগঞ্জ পৌর মেয়র নাদের বখত ও চেম্বার অব কমার্স এর সভাপতি এবং সদর উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে শহরের হাট বাজার পরিদর্শনে নামেন। তারা ব্যবসায়ীদের আগামী ১৫ মে পর্যন্ত দোকান পাট বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়ে যারা ব্যবসা-প্রতিষ্টান খুলেছিল তা বন্ধ করে দেন। এ সময় তারা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রচারণাও চালান।
সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খায়রুল হুদা চপল বলেন, ব্যবসা-প্রতিষ্টান খুলার ঘোষণায় হঠাৎ ভিড় দেখা যায়। এতে করোনা সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। তাই আমরা ব্যবসায়ী ও জনপ্রতিনিধিরা মিলে আজ বাজার ঘুরে কঠোরভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি। যারা খুলেছিল তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছি। আগামী ১৫ মে’র পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।