হাওর ডেস্ক ::
সিলেট কারাগারের এক হাজতি করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় একটি ওয়ার্ডের আরও ৮৬ হাজতিকে লকডাউন করা হয়েছে। একই সাথে কারাগারের আরও ২৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কোয়ারেন্টিনে রাখা রয়েছে।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার আবু সায়েম আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান- এক হাজতির মৃত্যুর পর তার করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়ার পরই কারাগারে ওই হাজতির ওয়ার্ডটি পুরোপুরি লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। যেখানে ৮৬ জন আসামী রয়েছেন। এছাড়া করোনা সংক্রমণ এড়াতে বিভিন্নভাবে ওই হাজতির সংস্পর্শে যাওয়া আরও ২৪ কর্মকর্তা-কর্মচারী কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হয়েছে।
জেলার আবু সায়েম জানান- এখন পর্যন্ত কারও নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি। তবে সবাইকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এটা একটা প্রক্রিয়ার ব্যাপার তাই একটু সময় নিয়ে করা হচ্ছে।
এর আগে রোববার (১০ মে) সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের এক হাজতি করোনা উপসর্গ নিয়ে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুর পরদিন সোমবার (১১ মে) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিপিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
আহমদ হোসেনের (৫৫) নামের ওই ব্যক্তি কানাইঘাট থানার একটি খুনের মামলায় গত দুই মাস ধরে জেল-হাজতে ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কানাইঘাটের দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউপির ঘড়াইগ্রামে।
সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য)’র কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. মো আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কারা সূত্র জানায়- এর আগে মার্চের ৫ তারিখ তিনি একটি খুনের মামলায় জেলে যান। এরপর ৮ মে (শুক্রবার) তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। তবে তার মধ্যে করোনার উপসর্গ থাকায় ওসমানী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
পরদিন আর ৯ মে তার নমুনা সংগ্রহ করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। সোমবার (১১ মে) তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস বাংলাদেশে ধরা পরে গত ৮ মার্চ। আর সিলেট বিভাগে সর্বপ্রথম করোনাভাইরাস ধরা পড়ে গত ৫ এপ্রিল।