হাওর ডেস্ক ::
আসছে ঈদে উন্মুক্ত স্থানে বড় জামাত পরিহার করতে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এ অবস্থায় ঈদের জাতীয় জামাতসহ বড় জামাতগুলো হবে কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে। ধর্ম মন্ত্রণালয় দেশের শীর্ষ আলেম-ওলামাদের নিয়ে বিকেলে বৈঠকে বসছে। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বড় পরিসরে ঈদ জামাত হবে কিনা। আর ছোট পরিসরে হলেও কিভাবে জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে আগামী ২৮ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বাড়িয়ে অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে। এর পর দুই দিন ২৯ ও ৩০ মে সাপ্তাহিক ছুটি যোগ হওয়ায় কার্যত ৩০ মে পর্যন্ত ছুটি থাকছে দেশে। তবে এ জন্য ১৫টি শর্ত আরোপ করা হয়েছে। আজ ছুটি বাড়িয়ে অফিস আদেশ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বৃহস্পতিবার দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখার উপসচিব আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী সাক্ষরিত অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে। এতে বেশিরভাগ শর্তই আগে ঘোষিত ছুটির সময়ে জারি করা হয়েছিল। নতুন শর্ত হিসেবে ঈদ জামাতের বিষয়ে বলা হয়েছে, ‘আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর-এর নামাজের ক্ষেত্রেও বর্তমানে বিদ্যমান বিধি-বিধান প্রযোজ্য হবে। উন্মুক্ত স্থানে বড় জমায়েত পরিহার করতে হবে। ধর্ম মনমন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে’। এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার দুপুরে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, বিকালের বৈঠকে বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। তখন বিস্তারিত জানানো হবে।
মন্ত্রিপরিষদ থেকে জারি করা ছুটি আদেশে আন্তঃজেলা, আন্তঃউপজেলা যান চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হয়েছে। তবে, পত্রিকাসহ সব গণমাধ্য, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি পরিবহন, চিকিৎসাসহ জরুরী কাজের সঙ্গে যুক্ত যানবাহন ছুটির নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে। এছাড়া দোকানপাট খোলার বিষয়ে আগের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। সরকারি অফিস আদালগুলোকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে জারি করা ১৩টি আদেশ মেনে চলতে বলা হয়েছেন। ছুটি চলাকালে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা যাবে না। ঈদের সময় যে যেখানে আছেন সেখানেই ঈদ পালন করতে হবে। কেউই নিজ নিজ কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবে না। ছুটিকালীন সময়ে গণপরিবহন, যাত্রীবাহী নৌযান-রেল ও অভ্যান্তরীন রুটে বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে মহাসড়কে মালবাহী/জরুরী সেয়া নিয়োজিত যানবাহন চলবে।