ছাতক প্রতিনিধিঃ
ছাতকে বোরো ধান সংগ্রহে কৃষক তালিকায় অসম্পূর্ণ ও অসঙ্গতি ছিলো। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। প্রস্তুতকৃত তালিকায় প্রকৃত কৃষকের জায়গায় মধ্যস্বত্ত্ব ভোগীদের নাম অন্তর্ভুক্ত ও অস্বচ্ছতা থাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় দেয়া তালিকায় নির্ধারিত কৃষকের চেয়ে অনেক বেশী নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় লটারীর মাধ্যমে কৃষক নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গত মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত হয় ধান সংগ্রহের জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষক নির্বাচনে উন্মুক্ত লটারী। উন্মুক্ত লটারীর আয়োজন করেন উপজেলা খাদ্য শস্য সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটির সভাপতি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম কবির। তখন অনুষ্ঠান স্থলে এক বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ লটারী অনুষ্ঠান বাতিল করে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। তিনি ওই তালিকা বাতিল করে পরবর্তী দু’দিনের মধ্যে প্রকৃত কৃষকদের নাম অর্ন্তভুক্ত করার নির্দেশ দেন। এর পরই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক হোসেন খানের তীব্র তোপের মুখে পড়তে হয় উপস্থিত ইউনিয়ন পর্যায়ে দায়িত্বপালনকারী উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। এসময় কৃষি কর্মকর্তা কোন ব্যক্তি বা জনপ্রতিনিধির অদৃশ্য চাপ উপেক্ষা করে প্রকৃত কৃষকদের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নাম্বারসহ প্রয়োজনীয় তথ্যাবলি সম্বলিত তালিকা প্রস্তুত করার নির্দেশ দেন। ইউনিয়ন পর্যায়ে দায়িত্বপালনকারী উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা ওই অসম্পূর্ণ কৃষকদের তালিকা প্রস্তুত করেন। শুরু থেকেই তালিকা প্রস্তুতকারীদের উপর চড়াও হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এক পর্যায়ে অনুষ্ঠান স্থল থেকেই তিনি তালিকায় থাকা এক কৃষকের মোবাইল নাম্বারে ফোন করেন। আর তখনই অসংঙ্গতির বিষয়টি তার নজরে ধরা পড়ে। যে কারনে তিনি এসব তালিকা বাতিল করে প্রকৃত কৃষকদের নাম অন্তভর্’ক্ত করে তালিকা প্রস্তুত করার নির্দেশ দেয়া হয়। অসম্পূর্ণ তালিকা বাতিল করায় দু’একজন ছাড়া উপস্থিত সকলেই একজন দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছ ও স্পষ্টবাদী কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম কবিরকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।