স্টাফ রিপোর্টার::
বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কথা ভেবেই প্রায় ২০-২৫ বছর আগে বাড়ির দক্ষিণ পূর্বদিকে একটি চন্দনগাছ লাগিয়েছিলেন। নিজ হাতে লাগানো সুশোভিত ছায়াময় এই বৃক্ষের কাঠেই তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। ৫ দশকের এক বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক নেতার শেষকৃত্য সম্পন্নের সঙ্গে রাজনীতির এক অধ্যায়ের অবসান হলো বলে মনে করেন দেশের মানুষ।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বৃহত্তর সিলেটের আপামর জনতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে শ্রদ্ধা জানান। সকালে সিলেট থেকে তার মরদেহ সুনামগঞ্জ আসার পর হাজার হাজার মানুষ প্রিয় নেতাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে জড়ো হোন সুনামগঞ্জ কালেকটরেট ভবন সংলগ্ন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সমাধী ফলক ক্যাম্পাসে। এখান থেকে তার নির্বাচনী এলাকা দিরাই-শাল্লায় নেওয়ার পর দিরাইয়ে হাজার হাজার মানুষ বালুর মাঠে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। দিরাই শাল্লার হাজার হাজার নারী পুরুষ তাকে শেষ বিদায় জানান চোখের জলে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বাংলো টাইপের দ্বিতল বাড়িটির আঙ্গিনায় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শুরু হয়। সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের একমাত্র পুত্র সৌমেন সেনগুপ্ত বাবার মুখাগ্নি করেন। এসময় সৌমেনের চোখ বেয়ে অঝোরে অশ্রু নামে। উপস্থিত পুরোহিতসহ নেতাকর্মীরা এই দৃশ্য দেখে তারাও কেঁদে ওঠেন। বাইরে অপেক্ষমান কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ জনতা ছিলেন অশ্রুসজল।
সৌমেন সেনের ঠিক পাশ ঘেষে দাঁড়িয়ে অঝোরে কাঁদছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের দিরাই বাসভবনের দীর্ঘদিনের বিশ্বস্থ সহকারি ধীরেন্দ্র দাস। প্রিয় নেতার মৃত্যুর খবর পেয়েই তিনি রবিবার ভোর থেকে যে কান্না শুরু করেছিলেন এখনো থামেনি সেই কান্না। তার চোখের জল অনেককেই কাদিয়েছে।
রাত পোনে আটটার দিকে শেষকত্যৃ সম্পন্ন হয় এই বর্ণাঢ্য রাজনৈতিকের। শেষ কৃত্য সম্পন্ন করেন প্রিয় নেতার সান্নিধ্য থেকে চিরতরে বিদায় নেন লাখো মানুষ। প্রিয় নেতা, প্রিয় মানুষকে হারিয়ে শোককাতর মানুষ এখনো বিলাপ করছেন।