স্টাফ রিপোর্টার::
সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের একমাত্র পুত্র সৌমেন সেনগুপ্তের বিরুদ্ধে সুরঞ্জিত বিরোধীরা দীর্ঘদিন ধরে অপপ্রচার করছে বলে অভিযোগ করেছেন দিরাই-শাল্লার সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের রাজনৈতিক অনুসারীরা।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের উচ্চশিক্ষিত পুত্র সৌমেন সেনগুপ্ত যাতে উত্তরাধিকার সূত্রে সাধারণ মানুষের আহ্বানে স্থানীয় রাজনীতিতে না আসেন সেজন্যই সুরঞ্জিত বিরোধী একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সুরঞ্জিত সেনের মৃত্যুর পর এই চক্র আবারো সক্রিয় হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার দুপুরে বর্ষীয়ান রাজনৈতিক নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মরদেহ সুনামগঞ্জে নিয়ে আসেন তার পুত্র সৌমেন সেনগুপ্ত। তার বাবার মরদেহের সামনে দাড়িয়ে সাবলিল ভাষায় তিনি আবেগঘন বক্তব্য রাখেন। কৃতজ্ঞতা জানান আওয়ামী লীগ ও সমমনা সংগঠনসহ সাধারণ জনতাকে। তার বাবাকে যেভাবে সাধারণ মানুষ ভালোবাসায় বেধেছিলেন এভাবে তিনিও তাদের ভালোবাসা কামনা করেন। সুরঞ্জিত পুত্রের এই অল্পক্ষণের বক্তব্যে মুগ্ধ হন উপস্থিত হাজারো মানুষ। সৌমেন রাজনীতিতে নিয়মিত হলে পিতার দেখানো পথেই সহজে হাঁটতে পারবেন বলে মনে করেন উপস্থিত নেতাকর্মী ও সাধারণ জনতা।
এদিকে দিরাইয়ে বালুর মাঠে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে শ্রদ্ধা জানাতে ঢল নামে মানুষের। হাজার হাজার মানুষ তার জন্য সকাল থেকে অপেক্ষা করে সন্ধ্যা পর্যন্ত শ্রদ্ধা জানাতে জড়ো হয়েছিলেন। হাজারো নেতা-কর্মী ও জনতার এই সম্মিলনে সৌমেন সেনগুপ্ত দিরাই শাল্লার আপামর মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, আমাকে ঢাকা থেকে বলা হয়েছিল বাবার মরদেহের সঙ্গে কে কে আসবে। আমি বলেছি দিরাই-শাল্লার লাখ লাখ মানুষ বাবার আপনজন। সেই মানুষজনই তাদের প্রিয় নেতাকে শেষ বিদায় জানাবেন। সৌমেন আরো বলেন, আপনাদের ভালোবাসার মানুষ আমার বাবার অসামাপ্ত কাজ আমি শেষ করতে চাই। আপনারা সহযোগিতা করলে অবশ্যই আপনাদের প্রিয় নেতার অসমাপ্ত কাজ আমি সমাপ্ত করতে সক্ষম হবো। এসময় সৌমেন সেনগুপ্তের কাদো-কাদো বক্তব্যে অনেকেই সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জন্য চোখের জল ফেলেন। তারা প্রিয় নেতার এই পুত্রের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করেন।
শাল্লা উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও শাল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি পীযুশ দাস বলেন, আমাদের নেতা চলে গেছেন। পিছনে রেখে গেছেন অমলিন কীর্তি। তার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে আমরা তার সুযোগ্য, সুস্থ, সক্ষম ও মেধাবী ছেলেকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। দিরাই-শাল্লার সকল নেতাকর্মী এবং সাধারণ জনতাও মনেপ্রাণে তাদের নেতার উত্তরসূরিকে কামনা করেন।
জেলা কৃষকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা এখন সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের পরিবারের অভিভাবক। তিনি অতীতে যেভাবে যোগ্য নেতার সন্তান ও পরিবারকে সহযোগিতা করছেন এখনো বজায় থাকবে। সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের উত্তরসূরি হিসেবে আমরা তার যোগ্য পরিবারকেই চাই।