হাওর ডেস্ক ::
চিকিৎসক, পুলিশ, নার্স, সাংবাদিক, আমলা, ব্যাংকার, প্রকৌশলী, আইনজীবীসহ প্রায় সব পেশার মানুষই একের পর এক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। এসব পেশার কেউ কেউ এরইমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন। তবে অধিকাংশই সুস্থ হয়ে উঠেছেন বা উঠছেন।
চলমান করোনা পরিস্থিতিতেও সুস্থ ছিলেন বাংলাদেশের বিচারকরা। এবার তাঁদের মধ্যেও হানা দিয়েছে করোনাভাইরাস। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের শরীরে এরইমধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাঁকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন আইনজীবী করোনা পজেটিভ হলেও এই প্রথম কোনো বিচারক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। তবে এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান আজ সোমবার (১৮ মে) কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি।
জানা যায়, গত ৮ মে থেকে সামান্য জ্বর ও কাশি দেখা দেয় বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের। ১১ মে তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হয়। ওই পরীক্ষায় তিনি করোনা পজেটিভ হিসেবে শনাক্ত হন। এ সময় তিনি বাসায়ই অবস্থান করছিলেন। তবে শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে গত ১৩ মে তাঁকে মুগদার করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তর করা হয় সিএমইএইচ হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন তাঁর চিকিৎসার বিষয়টি সার্বক্ষণিকভাবে তদারকি করছেন বলে জানা গেছে।
রাষ্ট্রপতি ২০১৮ সালের ৩০ মে দুই বছরের জন্য হাইকোর্ট বিভাগের অস্থায়ী বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেন শশাঙ্ক শেখর সরকারকে। পরের দিন ৩১ মে তিনি বিচাপতি হিসেবে শপথ নেন। সেই থেকে তিনি হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি হিসেবে দায়িত্বরত। এরআগে তিনি দীর্ঘদিন সুপ্রিম কোর্টে রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তা ডেপুটি অ্যাটর্নি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের যে কয়জন আইনজীবী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে ব্যারিস্টার আকবর আমীন এরইমধ্যে সুস্থ হয়ে গেছেন। সুস্থ হওয়ার পথে অন্যরাও।
এর আগে অস্ট্রেলিয়ায় প্রশিক্ষণ শেষে গত ১৫ মার্চ দেশে ফিরেই হোম কোয়ারেন্টিনে যান দেশের নিম্ন আদালতে দায়িত্বরত ৩০ বিচারক। ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিন শেষে তাঁরা সবাই সুস্থ অবস্থায় নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ দেন।