কতদিন হয়ে গেল, শেষই বা কোথায়?
গোটা পৃথিবী থমকে দাঁড়িয়ে
আক্রান্ত অগণিত, জীবন যাচ্ছেও কত।
দিশেহারা সব।
বাদ নেই ডাক্তার, নার্স, সেবাকর্মীর দল
নির্ঘুম চিকিৎসা বিজ্ঞানী
ল্যাব আর টেকনিশিয়ান যত।
সবার মনে ভয় আর অন্তহীন দুঃশ্চিন্তা
কবে আসবে সেই সুদিন, বইবে সুবাতাস?
কবে বিদায় হবে এই অনাহুত, কঠিন মরণব্যাধি?
কখন হাতে নেবো সেই বহু প্রত্যাশিত ভ্যাকসিন,
সফল হবেতো?
আর কতদিন, হে ভগবান!
করুনা করছেনা করোনা
বহুগুণে শক্তিশালী হয়ে, রুপ বদলিয়ে
আঘাত হানছে শত।
বাতাসে শুধু লাশের গন্ধ
কাছে যেতেও মানা। নিঃশ্বাসে দ্বিধাগ্রস্ত
কখন জানি শত্রু প্রবেশ করে ঘরে?
ফুসফুস দু’টো হঠাৎ ধর্মঘটে নামে,
বা রক্ত জমাট বাঁধিয়ে নিথর করে দেয় দেহ!
পশুপক্ষী, বৃক্ষরাজি,পাহাড়, পর্বত, গোটা প্রকৃতি
সকলই প্রচন্ড উৎফুল্ল, নব সাজে, ভিন্ন রুপে;
তবে, ঈশ্বর শুনেছেন কি তাদের প্রার্থনা?
ভয়, ভয় আর ভয়। ভয় ঐ মরণঘাতি ভাইরাসের।
নিঃশ্বাস, সংস্পর্শ, চলাফেরা সব কিছুইতেই।
অনাহারে মৃত্যু বরণ না কভিড-ঊনিশকে আলিঙ্গন?
কোনটা বেছে নেব? প্রলাপ নয়।
আবদ্ধ থাকার চেয়ে চিন্তামুক্ত হয়ে দু’মুঠ খেয়ে কবরে যাওয়া…? ভয়ঙ্কর কথা!
কঠিন বাস্তবতা আর হতাশার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে।
অধিকাংশই দিন আনা দিন খাওয়া,
পেটতো আর লকড্ ডাউন মানে না।
রক্ষা কর, প্রভু।
সম্পদশালী দেশগুলোই যেখানে বিভ্রান্ত,
আমরা?
বিশাল ঘনবসতি আর স্বাস্হ্য অব্যবস্হাপনা।
তোমার সৃষ্টিকে সুস্হ রাখিনি।
ভালো রাখব, ভালো থাকব।
ক্ষমা চাই তোমার, সৃষ্টি আর প্রকৃতির কাছে।
চড়লাম বিশ্বাসের ভেলায়
মানবিক চেতনায় নতুন বিশ্বের আশায়।
##
লেখক: নারায়নতলা মিশন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।