স্টাফ রিপোর্টার::
দিরাই-শাল্লার সাতবারের সাংসদ বিশিষ্ট পার্লামেন্টারিয়ান সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের প্রয়াণে মর্মাহত দিরাই শাল্লা আওয়ামী লীগসহ সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের রাজনৈতিক অনুরাগীরা। তবে এই মনখারাপের মধ্যেও তারা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের পরিবার থেকে আগামীদিনের রাজনৈতিক উত্তরাধিকারীর কল্পনা করছেন। বর্তমানে নেতা হারানো লাখো মানুষ সুরঞ্জিত পরিবারের রাজনৈতিক উত্তরাধিকারীর খবরের অপেক্ষায় রয়েছেন। আওয়ামী লীগের হাই কমা- দিরাই-শাল্লা আসনে আনুষ্ঠানিকভাবে শিঘ্রই সেন পরিবারের রাজনৈতিক উত্তরাধিকারীকে বরণ করতে প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানা গেছে।
নেতাকর্মীরা জানান, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুর পর এই আসনে আগামীদিনের নেতৃত্বে আসতে আওয়ামী লীগ থেকে এক ডজন নেতা প্রত্যাশী হয়ে উঠেন। এ নিয়ে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমর্থকদের নিয়েও প্রচারণা চালান। তবে তৃণমূল নেতাকর্মী এবং আপামার মানুষ এক দাবি নিয়ে ঐক্যমত্যে পৌঁছেন যে ‘সেন পরিবার’ থেকেই রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী দিতে হবে। এই গণআবেগ ও দাবিকে মূল্যায়ন করে এবং প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের দেশ ও জাতির জন্য ত্যাগ ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক অবদানের কথা স্বিকার করে পরিবার থেকেই রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী মনোনয়নের সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী মহল। তাছাড়া এই পরিবার ছাড়া অন্য কাউকে প্রার্থী করলে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে বিবেচিত এই আসনে আওয়ামী লীগে চরম কোন্দল দেখা দিতে পারে এসব কথাও বিবেচনায় রাখে আওয়ামী লীগ। এলাকাবাসী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের পরিবার থেকে তার সুযোগ্য পুত্র সৌমেন সেনগুপ্ত বা সুযোগ্য স্ত্রী জয়া সেনগুপ্তের মধ্য থেকেই যে কাউকে রাজনীতিতে হাল ধরার আহ্বান জানান। ইতোমধ্যে স্থানীয় পত্রপত্রিকায় প্রকাশ্যে সুরঞ্জিত পরিবারের প্রতিনিধিত্ব চেয়ে বক্তব্য-বিবৃতিও দেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তবে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে শেষ পর্যন্ত জয়া সেনগুপ্তকেই তার অবর্তমানে রাজনৈতিক হাল ধরতে আহ্বান জানাবে আওয়ামী লীগ। তাই আগামী উপনির্বাচনে তিনিই স্বামীর আসনে নির্বাচন করবেন বলে ওই সূত্র জানিয়েছে।
দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিরাজ দৌলা মিয়া বলেন, আমরা আমাদের নেতার পরিবারকে রাজনীতিতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আমরা তাদের অপেক্ষায় আছি। সুরঞ্জিত পরিবারের দ্বারাই সম্ভব এই আসনের আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ঐক্য ধরে রাখা।