হাওর ডেস্ক ::
আজকের এই ঈদের দিনটি স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য স্মরণীয়। ঈদের মত একটি দিনে আমরা দেশ ও জাতির দুঃসময়ে তাদের পাশে থেকে সেবা দিতে পারছি এটিই অনেক বড় পাওয়া। আমি যখন নিজে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলাম, তখনি মনে মনে ঠিক করেছিলাম যদি সুস্থ হই, বেঁচে থাকি, তাহলে আমি শেষ পর্যন্ত করোনা আক্রান্তদের সেবায় থাকবো। সেই সুযোগ এই বিশেষ দিনেও আমি হাতছাড়া করিনি।
সোমবার (২৫ মে) রাতে এসব তথ্য জানান হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. গৌতম রায়। তিনি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা করোনা হাসপাতালের সকল স্বাস্থ্যকর্মীরাই এদিন সকাল থেকেই হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি জানান, আমি আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আজকের দিনে হাসপাতালের সকল স্বাস্থ্যকর্মী ও আক্রান্তদের সেবায় আমি নিজে থাকবো। সকাল থেকে আমি নিজে এখানে ভর্তি সকলের সঙ্গে কথা বলেছি, সকলের নিয়মিত খোঁজ-খবর নিচ্ছি। সকালে আমি সবার আগে খাবার টেস্ট করে, বিশেষ খাবার আজকে সকলের জন্য দিয়েছি। আজ জরুরি বিভাগে যারা চিকিৎসা সেবা নিতে এসেছেন এবং আক্রান্ত হিসেবে নতুন ভর্তি হয়েছেন তাদের পাশেও আমরা ছিলাম। পাশাপাশি আজ আমরা হাসপাতালের নমুনা সংগ্রহ কার্যক্রম ও ল্যাবের কার্যক্রম চালিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, ঈদ মানেই খুশি, ঈদ মানেই আনন্দ। আমরা তো সকলেই ঈদের দিনটি প্রতি বছর পরিবারকে দিয়ে থাকি কিন্তু এবার আর তা সম্ভব হয়নি। কারণ সরাসরি করোনা আক্রান্তদের সেবায় অংশ নেওয়ায় আমাদেরকে আইসোলেট থাকতে হচ্ছে পরিবার থেকে। এ ছাড়াও আমাদের এই দুঃসময়ে যোদ্ধা বলা হয়, আর এখন তো হাসপাতাল হচ্ছে আমাদের যুদ্ধের ময়দান। ময়দান ছেড়ে পালাতে তো আমরা বাঙ্গালিরা শিখিনি।
লড়াইটা আমাদের, আমরা যদি সকলে একসঙ্গে একটি সেক্রিফাইস করি ও চলাচল করে নিয়ম মেনে তাহলেই এই যুদ্ধে আমরা জয়ী হতে পারবো। আজকের দিনে দায়িত্ব পালন করে আমরা হতাশ নই বরং আরো বেশী উজ্জীবিত ও গর্বিত।