স্টাফ রিপোর্টার:
তাহিরপুরে মাদক সংক্রান্ত নিউজজের জের ধরে উপজেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক মানবজমিন তাহিরপুর প্রতিনিধি এম.এ রাজ্জাককে কাঠের রুল ও দাড়ালো অস্ত্র দিয়ে প্রাণে মারার চেষ্টা করেছে এলাকার মাদক ব্যাসায়ীদের একটি চক্র।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বালিয়াঘাট গ্রামের সড়ক পাড়াতে। এ ঘটনায় সাংবাদিক রাজ্জাক সহ তার পরিবারের ৫জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ২ জন কে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাংবাদিক রাজ্জাক বলিয়াঘাট বাজারে থেকে কাজ শেষে বাড়ী ফেরার পথে বালিয়াঘাট সড়কপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত সাদ্দাম, পিন্টু, বিষু, ডালিম, জয়দর, সাকুসহ বেশ কয়েকজন তার পথরোধ করে প্রথমে কাঠের রোল দিয়ে এলোপাথাড়ি হামলা করে । এমনকি তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে প্রাণে মারার চেষ্টাও করে তারা। এক পর্যায়ে সাংবাদিক রাজ্জাক চিৎকার দিলে আশ পাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে সাংবাদিক রাজ্জাকের পরিবারের লোকজন সংবাদ পেয়ে এগিয়ে গেলে তার বড় ভাই শহীদ, নুরু, ভাতিজা সুজন ও রুবেল কেও মারধর করে তারা। এ ঘটনা শুনে রাতে তাৎক্ষনিক তাহিরপুর থানার এএসআই আবু মোছা ঘটনাস্থলে এসে আহতদের চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেন। সোমবার মধ্যরাতে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রোগী নিয়ে গেলে হাসপতাল গেটে ও জরুরী বিভাগে আগ থেকে উৎপেতে থাকা তার আত্মীয় তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের মধ্য তাহিরপুরের ময়মনসিংহ হাটির সাদ্দাম ও শরিফের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন জনের একটি গ্রুপ দ্বিতীয় বার হামলা করে তাদের উপর। পরে হাসপাতালের আর এমও ডা, সুমন বর্মন বিষয়টি তাৎক্ষনিক থানায় অবগত করলে বহিরাগত হামলাকারীরা দ্রুত সঠকে পড়ে।
সাংবাদিক রাজ্জাক জানিয়েছেন, সম্প্রতি জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে তাহিরপুরে মাদকের ছড়াছড়ি শিরোনামে সংবাদ করার পর থেকেই উল্লেখিত মাদক ব্যবসয়ীরা বেশ কিছুদিন ধরে আমাকে হুমকি দিয়ে আসছিল। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ী যাওয়ার পথে মাদক ব্যবসায়ীরা সংঘবদ্ধ হয়ে কাঠের রোল ও দাড়ালো অস্ত্র দিয়ে আমার উপর হামলা করে।
হামলায় প্রথমে আমাকে পরে আমার পরিবারের কয়েকজন আহত করেছে।
তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইকবাল হোসেন জানিয়েছেন, গুরুতর আহত দুইজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তিনি বলেন, হাসপাতালে সবার চিকিৎসা নেয়ার অধিকার আছে। মধ্যরাতে যারা হাসপাতালে রোগীদের উপর হামলা করেছে তারা বহিরাগত, তাদের বিষয়টি আগামী আইনশৃংখলা মিটিংয়ে বলবো।
তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, এ ধরনের একটি ঘটনা শুনে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাটিয়ে আহতদের উদ্ধার করে তাহিরপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি বলেন, এ বিষয়ে থানায় কেউ এখনো লিখিত করেনী। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।