স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে গত কয়েক বছরের তুলনায় সেবিকার পরিমাণ সম্প্রতি বৃদ্ধি পেলেও তাদেরকে স্থায়ীভাবে ধরে রাখা যাচ্ছেনা। ফলে আবারও সেবাপ্রার্থীরা সেবিকাদের কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন। ২৩৩ জন নার্স থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন ১৭৪ জন।
সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে সম্প্রতি বিদায়ী সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল হাকিম গত ডিসেম্বর মাসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উচ্চ মহলের সঙ্গে যোগাযোগ করে সদর হাসপাতালে প্রায় ১৪৪ জন নতুন নার্স নিয়ে আসেন। এই খবরে উৎফুল্ল হন জেলাবাসী। তবে নিয়োগপ্রাপ্তদের বেশিরভাগই বাইরের জেলার থাকায় নিয়োগ পেয়েই তারা বদলির তদবির শুরু করেন। গত ডিসেম্বরে নিয়োগ পাওয়াদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৭জন বদলি হয়ে গেছেন। আরো অর্ধশত সেবিকা বদলির প্রক্রিয়ায় রয়েছেন বলে জানা গেছে। ফলে আবারও সেবিকা সংকটের মুখে পড়তে যাচ্ছে ২৫০ সয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সেবিকা নিয়োগ দিয়ে থাকে নার্সিং ইনস্টিটিউট। সেখান থেকেই বদলি ও নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়। যার ফলে সেবিকারা কিভাবে বদলির অর্ডার নিয়ে আসেন তা জানেননা স্বাস্থ্যবিভাগের সংশ্লিষ্টরা। তারা বদলির নিয়োগ অর্ডার নিয়ে আসায় বাধ্য হয়েই তাদের বিদায় দিতে হয় সেবিকাদের।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার ধামোদরতপি গ্রামের কাসেম বলেন, কিছুদিন আগে সদর হাসপাতালে এসে অনেক নার্স দেখে ভাল লাগল। এখন শোনতে পাচ্ছি নিয়োগ পেয়েই তারা বদলির তদবির শুরু করেছেন। এমন হলেতো আমরা কাঙ্খিত সেবা পাবনা। বঞ্চিত হবো। তাই তাদের কিভাবে ধরে রেখে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর সেবা নিশ্চিত করা যায় সেদিকে সংশ্লিষ্টদের নজর দিতে হবে।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক বছরের নার্স সংকটের তুলনায় এখন সদর হাসপাতালের অবস্থা ভালো। আমাদের প্রায় ১৭৪ জন নার্স কর্মরত আছেন। তবে নার্সদের বেশিরভাগই বাইরের এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় তারা নিজের এলাকায় চলে যেতে চান। তারা নার্সিং ইনস্টিটিউট থেকে নিয়োগ নিয়ে আসেন এবং সেখান থেকেই বদলির অর্ডার নিয়ে আসেন। আমাদের কিছুই করার থাকেনা।