হাওর ডেস্ক::
আগামীকাল ৩১ মে রবিবার চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে। করোনার কারণে ফলাফল প্রকাশ বিলম্ব হয়েছে এবার। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে আগামী ৩১ মে সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল ও পরিসংখ্যান প্রকাশ করবেন।
চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় সুনামগঞ্জ জেলার ২২৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মোট ২৩ হাজার ২শত ৬৪ জন শিক্ষার্থী এবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। গত বছরের থেকে এবার শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ১ হাজার ৪শত’ ৮৬ জন। গত বছর ২৪ হাজার ৭শত’ ৫০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।
এ বছর সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কেন্দ্রে ১৯ হাজার ৫শত’ ৫০জন, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষায় ৩ হাজার ১শত’ ২২জন এবং কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ৫৯২জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। জানা গেছে, এই প্রথমবারের মতো এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল কেন্দ্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে না। শুধু অনলাইনে ফল প্রকাশ করা হবে। শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট থেকে এবং পরীক্ষার্থী নিজ মুঠোফোন নম্বর রেজিস্ট্রেশন করে এই ফল জানতে পারবেন। তাই পরীক্ষার্থীদের ফল জানার জন্য বা বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ করতে বিদ্যালয়ে যেতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে শিক্ষা বোর্ড। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় গতকাল এ কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা-২০২০ এর ফল প্রকাশ হচ্ছে। এই মহামারিকালে সকলকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনার আলোকে নিল্ফেম্নাক্ত নির্দেশাবলি মেনে ফল সংগ্রহ করতে হবে। এক. কোনো অবস্থাতেই ফল প্রকাশের দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জমায়েত হওয়া যাবে না। দুই. যারা এসএমএসের মাধ্যমে ফল পেতে ইচ্ছুক, তাদের ফল প্রকাশের পূর্বেই নিল্ফেম্নাক্ত পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। প্রি-রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। যে কোনো মোবাইল নম্বর থেকে ঝঝঈ ইড়ধৎফ ঘধসব (প্রথম তিন অক্ষর) জড়ষষ ণবধৎ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। প্রতি এসএমএসের জন্য দুই টাকা চার্জ নেওয়া হবে। শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটেও ফল প্রকাশ করা হবে।
এ বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সরস্বতী পূজা ও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের কারণে পিছিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়। ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলে তত্ত্বীয় পরীক্ষা। ৫ মার্চ শেষ হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা।