ছাতক প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের ছাতকে লিয়াকত আলী নামের এক আন্তঃজেলা ডাকাত সদস্যকে বসতঘরে চুরির অপরাধে হাতে নাতে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। তাকে গণধোলাই দিয়ে এক ইউপি সদস্যের মাধ্যমে তার স্ত্রীর জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। পুলিশে সোপর্দ না করে জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে চোরকে তার স্ত্রীর জিম্মায় ছেড়ে দেওয়ায় এলাকার সচেতন মহলের মধ্যে এনিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। আকত মিয়া ওরফে লিয়াকত আলী (৪৫) হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার যাত্রাপাশা ইউনিয়নের প্রথমাদেক গ্রামের মৃত কুতুব উল্লাহর পুত্র। সে দীর্ঘদিন ধরে ছাতক উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়নের মুক্তারপুর গ্রামের মৃত মাফিজ আলী কালা মিয়ার কন্যা মজমা বেগমকে বিয়ে করে শ্বশুড় বাড়িতে বসবাস করে আসছে। সে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় এলাকায় চুরি, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক চুরি, ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রামপুর খাইরগাঁও গ্রামের আবদুল খালিক প্রতিদিনের মতো শুক্রবার রাতের খাবার খেয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত প্রায় ২টার দিকে লিয়াকতসহ অন্যান্য সহযোগিরা আবদুল খালিকের ঘরের পিছনের দরজার নীচে সিঁধ কেটে বসতঘরে প্রবেশ করে মোবাইল, নগদ টাকা, কাপড় ও মুল্যবান মালামাল চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামের দু’যুবক তাকে ধাওয়া করে অন্যান্য লোকজনের সহায়তায় গ্রামের বাবরু মিয়ার পুকুরের পানিতে ফেলে হাতে নাতে আটক করে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে লিয়াকত আলীর স্ত্রী মজমা বেগমসহ তার ছেলে মেয়েরা ঘটনাস্থলে আসে এবং তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য গ্রামবাসীর কাছে অনুরোধ করে। পরে শনিবার সকালে স্ত্রীর জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয় লিয়াকত আলীকে। এর আগেও তার এক সহযোগি মুক্তারপুর গ্রামের কালারাজা ডাকাতির লুন্ঠিত মালামাল ও দেশীয় অস্ত্রসহ ছাতক থানার সাবেক ওসি শাহজালাল মুন্সি গ্রেফতার করেছিলেন। পরবর্তীতে তারা আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে আসে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল হাশিম বলেন, গ্রামবাসীর চাঁপে ও এলাকাবাসীর অনুরোধে স্ত্রীর জিম্মায় লিয়াকত আলীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।