তমাল পোদ্দার:
ছাতকে ইজারা জটিলতার গেঁড়াকলে পড়ে বন্ধ হয়ে আছে চেলা ও মরা চেলা নদী বালু মহাল। প্রায় ৩ মাস ধরে ওই নদীতে বালু উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। এ কারনে লাখ-লাখ টাকা রাজস্ব থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। পাশাপাশি বালু শ্রমিক, ব্যবসায়ী, নৌকা মালিক-শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট প্রায় ৩০ হাজার মানুষ বেকার হয়ে পড়ে। আর এখন তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। বিশেষ করে সীমান্ত এলাকার ইসলামপুরসহ আশপাশ ইউনিয়নের প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ পাথর ও বালু ব্যবসার সাথে জড়িত। এসব শ্রমিক-ব্যসায়ীদের উপার্জনের এক মাত্র পথ হলো চেলা ও মরা চেলা নদী বালু মহাল। আর ইজারা জটিলতায় বালু উত্তোলন বন্ধ হয়ে এখন তাদের জীবিকার চাকা থমকে গেছে। এদিকে নদীতে বালু উত্তোলন বন্ধ থাকার সুযোগ নিয়ে স্থানীয় একটি চক্র বালু উত্তোলনের মহোৎসবে মেতে উঠেছে। চক্রটি প্রতিদিনই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, জেলা প্রশাসক সুনামগঞ্জ কর্তৃক চলতি বছরের ১৫ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ছাতক-দোয়ারা উপজেলাধীন চেলা ও মরা চেলা নদী বালু মহাল ইজারা প্রদানে ৩য় পর্যায়ে দরপত্র আহবান করা হয়। ২৭ এপ্রিল মেসার্স কাওসার ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। কিন্তু ১২ মে জেলা প্রশাসক ও জেলা বালু মহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল আহাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় মেসার্স কাওসার ট্রেডার্স’র দরপত্রে উল্লেখিত অর্থ তুলনামুল কম হওয়ায় পুনঃ দরপত্র আহবানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পুনঃ দরপত্র আহবানের বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে মেসার্স কাওসার ট্রেডার্সের স্বত্তাধিকারী মোঃ কাওসার আহমদ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোট বিভাগের ভার্চুয়াল কোটে একটি রীট পিটিশন দাখিল করেন। রীটের প্রেক্ষিতে ভার্চুয়াল কোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ১৪ মে চেলা ও মরা চেলা নদী বালু মহাল পুনঃ দরপত্র কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। এদিকে বালু মহাল খুলে না দেয়ায় শ্রমিক-ক্ষুদ্রব্যবসায়ী ও নৌকার মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।