হাওর ডেস্ক ::
করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় দেশের প্রধান পর্যটন শহর কক্সবাজারকে ‘রেড জোন’ চিহ্নিত করে আগামী দুই সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তিন লক্ষাধিক বাসিন্দার ছোট্ট শহরটিতে শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে শুরু হয়ে আগামী ২০ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত লকডাউন বহাল থাকবে। প্রয়োজনে দুই সপ্তাহের পর সময় আরো বাড়ানো হবে।
‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা এলাকা থেকে কোনো লোক বাহির ও প্রবেশ করতে পারবেন না। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন গতকাল শুক্রবার এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে লকডাউন কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
কক্সবাজার জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক বলেন, রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত এলাকাগুলো সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ থাকবে। লকডাউন থাকাকালে প্রয়োজনে এসব এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষকে সরকারিভাবে খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হবে। জেলা প্রশাসক আরো বলেন, ‘রেড জোন’ এলাকায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির মাত্রা কমাতে এমন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জরুরি কাজের সাথে জড়িতরা রেড জোনে সীমিত আকারে আসা যাওয়া করতে পারবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, কভিড-১৯ সংক্রমণ কার্যকর ও অধিকতর দক্ষতার সাথে নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সমগ্র পৌরসভাকে রেড জোনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রেড জোন এলাকায় সকল প্রকার ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক গণজমায়েত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সকল জনসাধারণ আবশ্যিকভাবে নিজ নিজ আবাসস্থলে অবস্থান করবে। সকল ব্যক্তিগত ও গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বহনকারী হালকা ও ভারী যানবাহন রাত ৮টা থেকে থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত চলাচল করতে পারবে।
সকল প্রকার দোকান, মার্কেট, বাজার, হাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। কেবলমাত্র রবিবার ও বৃহস্পতিবার কাঁচা বাজার ও মুদি দোকান স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। ওষুধের দোকান এর আওতার বাইরে থাকবে।
কেবল কভিড ১৯ মোকাবেলা ও জরুরি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সীমিত আকারে খোলা থাকবে। রবিবার ও বৃহস্পতিবার ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ খোলা থাকবে।