1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
জামালগঞ্জে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা সিলেটে শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসারকে অপসারণের দাবিতে গণস্বাক্ষর কার্যক্রম ২৫০ শয্যা হাসপাতালে সেবার মান বাড়ানোর দাবিতে মতবিনিময় সুনামগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ বন্যার্তদের সহায়তায় সুনামগঞ্জে শিল্পকলা একাডেমির ব্যতিক্রমী ছবি আঁকার কর্মসূচি জগন্নাথপুরে শিক্ষিকা লাঞ্চিত: দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী সকল কালাকানুন বাতিলের দাবি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পান্নার মরদেহ হস্থান্তর করলো মেঘালয় পুলিশ কাদের সিদ্দিকী বললেন: বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ আর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এক নয় বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বন্যায় ২০ লাখ শিশু ঝুঁকিতে : ইউনিসেফ

হাওরে বজ্রপাত: বজ্রনিরোধক দন্ড স্থাপন ও তাল-নারিকেল গাছ রোপণের যৌক্তিকতা

  • আপডেট টাইম :: রবিবার, ৭ জুন, ২০২০, ১০.৩৮ এএম
  • ৫৫৩ বার পড়া হয়েছে

।। অসীম সরকার।।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আকাশে মেঘ জমা হওয়ার সময় জলীয় বাষ্প যখন উপরে উঠতে থাকে তখন সেই জলীয়বাষ্পের ঘর্ষণের কারণে কিছু ইলেকট্রন আলাদা হয়ে নিচের মেঘ গুলোর মাঝে জমা হতে থাকে৷ তখন স্বাভাবিক ভাবেই উপরে মেঘের মাঝে ইলেকট্রন কম পড়ে এবং সেখানে পজিটিভ চার্জ জমা হয়৷ মেঘের ভেতরে যখন প্রচুর চার্জ জমা হয় তখন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার জন্য মেঘের ভেতরে বড় সম্পর্ক হয়,সেটাকে আমরা বিজলী চমকানো বলি৷ মাঝে মাঝে আকাশের মেঘে এত বেশি চার্জ জমা হয় যে, সেগুলো বাতাসকে আয়নিত করে আক্ষরিক অর্থে লক্ষ মাইলবেগে মাটিতে নেমে আসে আমরা এটাকেই বজ্রপাত বলি৷ আঞ্চলিক ভাষায় একে কেউ কেউ টাডাও বলে থাকে৷ আর এই বিশাল পরিমান চার্জ যদি হাওর এলাকায় হয় তাহলে বিশাল ক্ষতির কারণ হয়৷ হাওর অঞ্চলের কৃষক মাঠে ধান ফলনের কাজ করে,জেলেরা পানিতে মাছ ধরে৷ যারা ধান তোলা বা রোপণ অথবা মাছ ধরার কাজে পানিতে বেশি সময় থাকেন তাদের বেশি ক্ষতি হয়৷ অনেক সময় পরিবারের সবাইকে এক সাথে মারা যেতে দেখা যায়৷
কিন্তু অতীতে আমরা এমনটা দেখিনি৷
হাওরে মোবাইল আসার পূর্বে এত মানুষ মারা যেতনা বলে দাবী করেন এই অঞ্চলের কেউ কেউ৷ ছোটবেলায় কৃষকদের বৃষ্টির মধ্যে মাঠে কাজ করতে দেখেছি, জেলেরা হাওরে মাছ ধরতে দেখেছি৷ বজ্রপাত উপেক্ষা করে তারা কাজ করেছেন৷ এত প্রাণহানী হয়নি৷ কিন্তু এখন হচ্ছে কেন?
লোকেমুখে শোনা যায়, “ব্রিটিশরা মৌজায় মৌজায় মাটির নিচে বজ্রনিরোধক দন্ড স্থাপন করেছিল৷ সেগুলো নাকি এখন নেই৷ অসাধুরা তোলে নিয়ে গেছে৷ ”
প্রথম আলোর সূত্রে বাংলাদেশ দুর্যোগ ফোরামের তথ্যসূত্রে ২০১০ সাল থেকে ২০১৮ সালের মে মাস পর্যন্তই বজ্রপাতে বাংলাদেশে মারা গেছে ২১০৫ জন৷ এত প্রাণহানি থেকে নিশ্চয়ই আমরা পরিত্রাণ চাই৷
আমরা জানি, শব্দের চেয়ে আলোর বেগ বেশি৷ তাহলে কি বিজলীই আমাদের শেষ ভরসা নাকি তালগাছ বা তালের বীজ লাগাবো! আবার এই তালগাছ বড় হতে অনেক বছর লেগে যাবে ততদিন আমাদের কে বাঁচাবে?
যাই হোক, হয়তো জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই এমনটা হতে পারে৷ তবে আমাদের উচিত এপ্রিল-জুন মাসে যেহেতু বেশি বজ্রপাত হয় এবং ৩০-৪০ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হয় তাই এসময় উচিত আমাদের ঘরে থাকা এবং নিচের নির্দেশনাগুলো মেনে চলা৷ যেমন :
# ঘনকালো মেঘ দেখা দিলে ঘরের বাহিরে না যাওয়া এবং অতি জরুরি হলে রাবারের জুতা পড়ে বের হওয়া৷
#বজ্রপাতের সময় খোলা মাঠ,খোলা জায়গা ও উচু স্থানে আশ্রয় না নেওয়া৷
#বজ্রপাতের সময় ধানক্ষেত বা খোলা মাঠে থাকলে তাড়াতাড়ি পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিয়ে এবং কানে আঙুল দিয়ে নিচু হয়ে বসে থাকা৷
#যত দ্রুত সম্ভব দালান বা কনক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নেয়া৷
# টিনের চালের নিচে আশ্রয় না নেওয়া৷
#উচু গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুটির তার বা ধাতব খুটি,মোবাইল টাওয়ার ইত্যাদি থেকে দূরে থাকা৷
#কালো মেঘ দেখা দিলে নদী,পুকুর, ডোবা, জলাশয় থেকে ডাঙায় উঠে আসা৷
#বজ্রপাতের সময় গাড়ির ভেতর অবস্থান করলে গাড়ির ধাতব অংশের সাথে শরীরের সংযোগ ঘটাবেন না,সম্ভব হলে গাড়ি নিয়ে কনক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নেয়া৷
#বজ্রপাতের সময় বাড়িতে থাকলে জানালা ও বারান্দায় থাকবেন না৷ জানালা বন্ধ করে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকে দূরে থাকা৷
#বজ্রপাতের সময় ধাতব হাতলযুক্ত ছাতা ব্যাবহার না করা৷ জরুরি প্রয়োজনে কাঠের বা প্লাস্টিকের হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করা৷
# বজ্রপাতের সময় শিশু ও নিজেদের খোলা মাঠে খেলাধুলা থেকে বিরত রাখা৷
#বজ্রপাতের সময় ছাউনিবিহীন নৌকায় মাছ ধরতে না যাওয়া এবং ছাউনির নিচে অবস্থান করা৷
#প্রতিটি বিল্ডিং এ বজ্র নিরোধক দন্ড স্থাপন করা৷
#খোলাস্থানে অনেকে একত্রে থাকলে বজ্রপাত শুরু হলে ৫০-১০০ফুট দূরত্বে অবস্থান করা৷
#বজ্রপাতে কেউ আহত হলে বৈদ্যুতিক শকের মতই চিকিৎসা দেওয়া৷ প্রয়োজনে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে বা হাসপাতালে যেতে হবে৷
বজ্রপাতের সময় লক্ষ আম্পিয়ারের মত বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়৷ এজন্য বাতাসের তাপমাত্রা ২০-৩০ হাজার ডিগ্রী পর্যন্ত উত্তপ্ত হয়ে যায় যেটা সূর্য পৃষ্ঠের তাপমাত্রার থেকেও বেশি৷ এই তাপমাত্রার কারণে আমরা নীলাভ সাদা আলোর ঝলকানি দেখতে পাই৷ তাপমাত্রার কারনে বাতাসটুকু ফুলে ফেঁপে বাহিরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং পরের মুহুর্তে বাহিরের বাতাস এসে শূন্যস্থান পূরণ করে৷ বাতাসের গতি শব্দের চেয়ে দ্রুত হলে শক-ওয়েভ বলা হয়৷ বজ্রপাতও একধরনের শক-ওয়েভ৷
আনুমানিক শব্দের গতি 330m/s এর মতো অর্থাৎ ১ কিলোমিটার যেতে সময় নেয় 3/s৷ আলোর কত সেকেন্ড পর শব্দ শোনা গেল তা থেকে আমরা ধারনা করতে পারি বজ্রপাতটা কতটুকু দূরে হল৷
বজ্রপাত সময় যেহেতু আকাশের মেঘ থেকে বিদ্যুৎ প্রবাহ নিচে নেমে আসে তাই কোন পদ্ধতিতে কি আমরা তা সংরক্ষন করতে পারি৷
বজ্রপাতের সময় লক্ষ আম্পিয়ারের মত বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়৷ এজন্য বাতাসের তাপমাত্রা ২০-৩০ হাজার ডিগ্রী পর্যন্ত উত্তপ্ত হয়ে যায় যেটা সূর্য পৃষ্ঠের তাপমাত্রার থেকেও বেশি৷ এই তাপমাত্রার কারণে আমরা নীলাভ সাদা আলোর ঝলকানি দেখতে পাই৷ তাপমাত্রার কারনে বাতাসটুকু ফুলে ফেঁপে বাহিরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং পরের মুহুর্তে বাহিরের বাতাস এসে শূন্যস্থান পূরণ করে৷ বাতাসের গতি শব্দের চেয়ে দ্রুত হলে শক-ওয়েভ বলা হয়৷ বজ্রপাতও একধরনের শক-ওয়েভ৷
আনুমানিক শব্দের গত 330m/s এর মতো অর্থাৎ ১ কিলোমিটার যেতে সময় নেয় 3/s আলোর কত সেকেন্ড পর শব্দ শোনা গেল তা থেকে আমরা ধারনা করতে পারি বজ্রপাতটা কতটুকু দূরে হল৷
বজ্রপাত সময় যেহেতু আকাশের মেঘ থেকে বিদ্যুৎ প্রবাহ নিচে নেমে আসে তাই কোন পদ্ধতিতে কি আমরা তা সংরক্ষন করতে পারি৷ খোলামাঠে যদি উচু স্টেশন তৈরি করি যেখানে বিদ্যুৎ সঞ্চয় হবে৷ এভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো সম্ভব৷ এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ গণ গবেষণা করছেন নিশ্চয়ই৷
বজ্রপাত যেহেতু উচু জিনিসকে আগে আঘাত করে তাই আমাদের উচিত বেশি করে তাল,নারিকেল, সুপারি ইত্যাদি বৃক্ষরোপন করা৷ এবং বিল্ডিং এর পাশাপাশি বজ্র নিরোধক দন্ড নির্মাণ করা এবং কৃষক, জেলে, পথচারীদের জন্য কনক্রিটের ছাউনি নির্মাণ করা৷ এছাড়া জনগনকে সচেতন করতে সকলের এগিয়ে আসা উচিত৷
asimsarker2015@gmail.com

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!