সাজ্জাদ হোসেন শাহ্:: তাহিরপুর উপজেলার পল্লীতে গাঁজা উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশ মাদকব্যবসায়ী সংর্ঘষে পুলিশের মোটরসাইকেল ড্রাইভার ও পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ ৬জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতরা হলেন, বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই মাহমুদুল হাসান, এএসআই রাজু কুমার বিশ^াস, নায়েক মন্টু দে, কনস্টেবল মো. আজাদ, মোটরসাইকেল ড্রাইভার সেলিম। গুরতর আহত মোটরসাইকেল ড্রাইভার সেলিমকে সোমবার রাতেই প্রথমে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই মো. মাহমুদুল হাসান, এএসআই রাজু কুমার বিশ^াসের নেতৃত্বে গোপন সংবাদের বিত্তিতে পুলিশের একটি দল উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের রাজাই গ্রামের মৃত আছমত আলীর ছেলে মাদকব্যবসায়ী জুলহাস মিয়ার বাড়িতে গাঁজা বিক্রি হচ্ছে এমন খবরের বিত্তিতে তার বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযান চলাকালে জুলহাস ও তার আত্মীয় স্বজনসহ ২০/২৫ জন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রসহ পুলিশের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। পুলিশের উপর হামলার খবর পেয়ে তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আতিকু রহমান, এসআই দীপঙ্কর বিশ^াস, মনতোষ পাল, এএসআই বেলাল হোসেন, মীর হোসেনসহ পুলিশের আরেকটি দল রাতভর জুলহাসকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালায়। এসময় সুকৌশলে জুলহাস ও তার দুই সহযোগী পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ তার বসত ঘরে থাকা সাদা প্লাস্টিকের ব্যাগের ভিতরে রাখা ১২টি গাঁজার প্যাকেট উদ্ধার করে। রাতভর অভিযানে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবার ভোররাতে উপজেলার চাঁনপুর ও বিন্দারবন গ্রাম থেকে পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো, রাজাই গ্রামের জম্মত আলীর ছেলে আলী আমজাদ (২২) একই গ্রামের মৃত জবেদ আলীর ছেলে এখলাস মিয়া (৫৫)।
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান জানিয়েছেন, এঘটনায় এসআই মাহমুদুল হাসান ও এএসআই রাজু কুমার বিশ^াস বাদী হয়ে একটি মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও একটি পুলিশ এ্যাসল্ট মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।