স্টাফ রিপোর্টার::
বীরপ্রতীকের দুস্থ কন্যা ও একজন দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাকে এক মাসের খোরাকি ও নতুন কাপড় উপহার দিয়ে দলীয় কার্যক্রম শুরু করেছেন সদ্য নির্বাচিত সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মাজহারুল ইসলাম উকিল। আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে আনন্দ মিছিলের মাধ্যমে আজ সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করবে সদর উপজেলা যুবলীগ। কার্যক্রম শুরুর আগে প্রয়াত পিতা সামরান আলীর দুই দুস্থ সহযোদ্ধাকে উপহার দিতে পেরে খুশি মাজহারুল ইসলাম উকিল।
জানা গেছে গত ২০ ফেব্রুয়ারি সদর উপজেলা যুবলীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন সুনামগঞ্জের বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা সামরান আলীর পুত্র মাজহারুল ইসলাম উকিল। নির্বাচিত হওয়ার পর সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এহছান আহমেদ উজ্জ্বল ও সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম উকিলের নেতৃত্বে আনুষ্ঠানিকভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু হবে আজ।
সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরুর আগে মাজহারুল ইসলাম উকিল ব্যক্তিগত উদ্যোগে সদর উপজেলার বিরামপুর গ্রামের দুস্থ মুক্তিযোদ্ধা মজর আলী এবং সদর উপজেলার বাহাদুর পুর গ্রামে বীরপ্রতীক শহীদ আব্দুন নূরের অসহায় মেয়ে হোসনে আরাকে এক মাসের খোরাকি প্রদান করেন। দুইজনকে নতুন কাপড়ও উপহার দেন দিনি। দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে উপহার তুলে দেন সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লতিফুর রহমান রাজু, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান সেন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার মঞ্জুর আহমদ, সাংবদিক শামস শামীম, সাংবাদিক বিন্দু তালুকদার, যুবলীগ নেতা আরজু প্রমুখ। শহীদ জগৎজ্যোতি পাঠাগারে এই উপহার সামগ্রী তুলে দেয়া হয় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে।
মাজহারুল ইসলাম উকিল বলেন, আমার বাবা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে আমাদেরকে বাংলাদেশ উপহার দিয়ে গেছেন। তার লড়াইয়ের সেই বাংলাদেশকে রক্ষার দায়িত্ব আমাদের। উকিল বলেন, আমি বাবার কাছ থেকেই দেশপ্রেম, মানবতাবাদ ও অসাম্প্রদায়িকতার শিক্ষা পেয়েছি। আজ মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের সদর কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়ে আমি খুশি। তাই আজ কার্যক্রম শুরুর দিনে আমার শ্রদ্ধেয় বাবার দুস্থ দুই সহযোদ্ধার পরিবারকে সামান্য উপহার দিতে পেরে খুশি। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পথচলাই হবে আমার মূল লক্ষ্য। আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আদর্শ তৃণমূলে ছড়িয়ে দিতে নিরলস কাজ করব।