হাওর ডেস্ক::
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরো ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ৪১২ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৫৪৫ জনের। আর সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছেন এক লাখ ১৯ হাজার ১৯৮ জন।
আজ মঙ্গলবার (২৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বুলেটিন প্রকাশে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে দেশে আরো ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁরা ৩৮ জন পুরুষ এবং পাঁচজন নারী। এঁদের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে পাঁচজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে দুইজন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৫৪৫ জনের।
জানানো হয়, নতুন যে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা ঢাকা বিভাগের ১৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১৫ জন, রাজশাহী বিভাগের ছয়জন, খুলনা বিভাগে দুইজন, ময়মনসিংহ বিভাগের দুইজন, বরিশাল বিভাগের একজন এবং সিলেট বিভাগের একজন। হাসপাতালে মারা গেছেন ৩০ জন, বাসায় ১২ জন এবং মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয় একজনকে।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮৮০ জন। এ নিয়ে দেশের করোনা সংক্রমণ থেকে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪৭ হাজার ৬৩৫ জন।
ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৭ হাজার ৫৬৩টি। একই সময় পূর্বের নমুনাসহ পরীক্ষা হয়েছে ১৬ হাজার ২৯২টি। এর মধ্যে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে তিন হাজার ৪১২ জনকে। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন এক লাখ ১৯ হাজার ১৯৮ জন। আর এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ছয় লাখ ৪৪ হাজার ১১টি।
ব্রিফিংয়ের শুরুতেই জানানো হয়, করোনা সন্দেহে নমুনা পরীক্ষায় আরো তিনটি ল্যাব সংযোজিত হয়েছে। এগুলো হলো শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে, দ্য ডিএনএ ল্যাব, ঢাকা এবং উচ্চতর বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এ নিয়ে বর্তমানে সারা দেশে মোট ল্যাবের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৫টিতে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের এই ৬৫টি ল্যাবে পরীক্ষা হয়েছে।
আইসোলেশন প্রসঙ্গে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরো ৬৮০ জনকে। একইসময় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২২০ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে গেছেন ২১ হাজার ১১২ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন আট হাজার ১৮৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১২ হাজার ৯২৭ জন।
কোয়ারেন্টিন প্রসঙ্গেও তথ্য দেওয়া হয় বুলেটিনে। বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এসেছেন দুই হাজার ৪১৪ জন। একইসময় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ১৬৪ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে গেছেন মোট তিন লাখ ৪৪ হাজার ৬৬০ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই লাখ ৮০ হাজার ৫১৪ জন। ছাড়ের পর বর্তমানে হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৬৪ হাজার ১৪৬ জন।
সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে সেবা প্রদান যায় বলে জানানো হয় বুলেটিনে।
বুলেটিনে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়ন এবং আইইডিসিআর’র হটলাইনে কল এসেছে এক লাখ ৭৪ হাজার ১৫৬টি। এ নিয়ে এ পর্যন্ত হটলাইনে এক কোটি ২৭ লাখ ৭০ হাজার ১১ জনকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এসব কলে সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা বেড়েছে আরো দুইজন। এ নিয়ে এখন মোট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা দাঁড়াল ১৬ হাজার ৩৯০ জনে। এ ছাড়া বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে হটলাইনে চার হাজার ২১৭ জন চিকিৎসক স্বাস্থ্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানানো হয় বুলেটিনে।