স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণের পানি থমকে আছে। অন্যান্য সময় নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হলেও সহজেই পানি নেমে যেতো। কিন্তু পানিধারণের আধার শহরের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত খালগুলো দখল, ভরাট, পুকুর ভরাট, ড্রেন ভরাটসহ নানা কারণে পানি সরছেনা। যার ফলে বিভিন্ন এলাকায় পানি থমকে আছে। সুনামগঞ্জ পয়েন্টে সুরমার পানি শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় বিপৎসীমার ৬৭ সে.মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিপৎসীমা ৭.৮০ সে.মি. অতিক্রম করে পানি িএ সময়ে বিপৎসীমার ৮.৪৭ সে.মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৯০ মি.মিটার।
শহরের গুরুত্বপূর্ণ কাজীর পয়েন্ট ও ষোলঘর এলাকার একাধিক বাসাবাড়িতে এখন পানি। রাত থেকে এখন পর্যন্ত পয়েন্টে পানি দেখা গেছে। এখনো থমকে আছে পানি। উকিলপাড়া এলাকায়ও পানি থমকে আছে। এই পাড়ার এডভোকেট কল্লোল তালুকদার চপলের বাসার ভেতরের গলি ও মূল গলিতেও এখনো পানি আছে। সাহেববাড়ি এলাকার প্রধান রাস্তা তলিয়ে গেছে। দোকানপাটেও এখন পানি। হোসেন বখত চত্বরে পানি দেখা গেছে। বড়পাড়া ও তেঘরিয়া এলাকার কিছু রাস্তাঘাটও ডুবে গেছে। বাসাবাড়িতে প্রবেশ করেছে পানি। শহরের বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল, বক্ষব্যাধি ক্লিনিক ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এই এলাকার একাধিক বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। ষোলঘর আবাসিক এলাকার বাসিন্দা শাহেরিন চৌধুরী মিশুক বলেন আমাদের এলাকা ও কাজীর পয়েন্ট এলাকা বিভিন্ন সময় প্লাবিত হয়। দ্রুত পানি নেমেও যায়। কিন্তু এবার প্লাবিত হলেও পানি নামছেনা। থমকে আছে পানি। এতে মানুষ শুধু চলাচলেই ভোগান্তির মধ্যে পড়েনি। বাসাবাড়িতেও পানি প্রবেশ করায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন। আর সামান্য পানি বাড়লে অবস্থা আরো খারাপ হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান বলেন, সুরমা যাদুকাটাসহ সুনামগঞ্জের নদ নদীর পানি বাড়ছে। এতে বিভিন্ন এলাকার নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা রয়েছে।
(ছবি: রাজু আহমেদ)