সাজ্জাদ হোসেন শাহ্:
গত তিন দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা আকস্মিক পাহাড়ী ঢলে তাহিরপুর সুনামগঞ্জ সড়কের আনোয়ারপুর, শক্তিয়াখলা, দূর্গাপুর ও লালপুর এলাকার প্রায় ৮কি.মি সড়ক পথ রয়েছে পানির নিচে। সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ৬৬ সে. মি. ও তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত নদী যাদুকাটার পানি বিপদ সীমার ১৭৪ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। অপরদিকে তাহিরপুর উপজেলা সদরের সাথে ৭ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। গোটা উপজেলায় গত তিনদিন ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। উপজেলার বাণ্যিজিক কেন্দ্র বাদাঘাট-সোহালা ও দিঘীরপাড় সড়কের অধিকাংশ রয়েছে পানির নিচে। এছাড়াও উপজেলার ৭ইউনিয়নের আন্তঃ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। উপজেলার শতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্ধি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এছাড়াও পানিতে ভেসে গেছে শতাধিক পুকুরের মাছ। বজ্রপাতে মরেছে গৃহ পালিত পশু। তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ জানিয়েছেন, উপজেলার বালিজুরী, বাদাঘাট, বড়দল উত্তর, বড়দল দক্ষিণ, শ্রীপুর উত্তর, শ্রীপুর দক্ষিণ ও তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের দুই শতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজ কিছু শুকনো খাবার পৌছে দেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে তালিকা তৈরি করে প্রতিটি ইউনিয়নে দূর্গতদের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌছে দেয়া হবে।
সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার অখিল কুমার সাহা জানিয়েছেন, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার, বিশ^ম্ভরপুর ও তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত ঘেষা এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। পানি কমে গেলে এসব এলাকায় কাজ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করতে পারবো বলে আশা করছি।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুর রহমান জানিয়েছেন, গত ২৪ঘন্টায় সুনামগঞ্জে ১৯০ মি.মি. এবং গত চারদিনে ৪শ’ ৮৩মি.মি। শনিবার বিকেল পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ৬৬ সে. মি. উপর দিয়ে এবং যাদুকাটা নদীর পানি ১৭৪ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিনি আরো জানান, আগামী দুই তিন দিন সুনামগঞ্জে ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।