হাওর ডেস্ক::
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ হক (৬৫) আর নেই। ( ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ শুক্রবার (৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০ টায় নর্থ ইস্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ সিলেট মিররকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, একছেলে, একমেয়ে ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায় গত মঙ্গলবার এম এ হককে নর্থ-ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। করোনার শনাক্তকরণ পরীক্ষার জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁর শরীরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এখনও নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসেনি।
সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ জানান, আজ বিকেল সাড়ে ৫টায় নগরের মানিকপীর টিলা সংলগ্ন মাঠে এম এ হকের প্রথম জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। রাত ৮টায় বালাগঞ্জের দেওয়ানবাজারের কুলুমা গ্রামে দ্বিতীয় জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। পরে মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।
এর আগে এম এ হকের ভাতিজা এমদাদ জানান, সিলেট নগরে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে গ্রামের বাড়িতে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
এম এ হক এর পুরো নাম মুহাম্মদ আব্দুল হক। তিনি ১৯৫৪ সালের ১ জুলাই সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি বালাগঞ্জ উপজেলার দেওনাবাজার ইউনিয়নের কলুমা গ্রামে। এম এ হক বিভিন্ন সময় সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির সভাপতি ছিলেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার দায়িত্ব পান তিনি। বিএনপির সমর্থনে দুইবার সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি।