স্টাফ রিপোর্টার::
রাত পোহালেই জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ৮৭টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন। আইন-শৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখতে ১২ জন ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসারসহ বিপুল সংখ্যাক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে।
উপজেলার ১ টি পৌরসভা ও ৮ টি ইউনিয়নে মোট ১ লক্ষ ৬৭ হাজার ৪৯৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আকমল হোসেন, বিএনপি প্রার্থী আতাউর রহমান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তাদীর আহমদ মুক্তা প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন। নির্বাচনী মাঠে গঠনমূলক বক্তব্য, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও কৃষিবান্ধব কর্মসূচির কারণে শুরু থেকেই মাঠে রয়েছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মুক্তাদীর আহমদ মুক্তা। তার কারণে টেনশনে রয়েছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থী। মুক্তাদীর আহমদের পক্ষে আওয়ামী লীগের তৃণমূলকর্মীসহ আপামর মানুষ ও প্রবাসীরাও নিরলস কাজ করেছেন।
এছাড়া নির্বাচনে আ.লীগের দলীয় মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আকমল হোসেনের পক্ষে প্রকাশ্যে কাজ করছেন আ.লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তাদির আহমদ মুক্তার পক্ষের পরোক্ষভাবে দলীয় কিছু নেতাকর্মী ও প্রবাসীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নেতৃবৃন্দ কাজ করছেন।
বিএনপির মধ্যেও গ্রুপিং থাকায় নির্বাচনেও এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
এবারের নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বিজন কুমার দেব (নৌকা), মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান হাজেরা বারী (নৌকা), বিএনপির দলীয় মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব আতাউর রহমান (ধানের শীষ), ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুহেল আহমদ খান টুনু (ধানের শীষ), মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারজানা আক্তার (ধানের শীষ), আ.লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তাদির আহমদ মুক্তা (আনারস), আ.লীগের আরেক বিদ্রোহী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী কামাল উদ্দিন (তালা), জমিয়তের মনোনীত ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ ছলিম আহমদ কাসেমী (খেজুর গাছ), স্বতন্ত্র ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়জুল হক (টিউবওয়েল) ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুফিয়া খানম সাথী (ফুটবল)।