হাওর ডেস্ক::
ব্রিটেনে আইনি লড়াইয়ে জিতেছেন শামীমা বেগম। দেশটির আপিল আদালত রায় দিয়েছেন, ব্রিটিশ সরকার তার নাগরিকত্ব বাতিলের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার বিরুদ্ধে লড়তে তিনি ব্রিটেনে ফিরতে পারবেন।
বিশ বছর বয়সী শামিমা বেগম এবং আরও দুজন স্কুলছাত্রী ২০১৫ সালে সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীতে যোগদানের জন্য লন্ডন থেকে সিরিয়া পাড়ি দিয়েছিলেন।
সিরিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে তাকে খুঁজে পাবার পর, সাবেক ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করে দেন।
শামীমা বেগম ব্রিটিশ সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন। আপিল আদালতের শুনানিতে তার আইনজীবী যুক্তি দেন যে, তাকে যুক্তরাজ্যে ফিরতে না দিলে, উত্তর সিরিয়ার শিবিরে থাকা অবস্থায় শামীমা বেগমের পক্ষে এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আইনি লড়াই চালানো কার্যত সম্ভব নয়।
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী কারো নাগরিকত্ব বাতিল তখনই আইনানুগ যখন সেই ব্যক্তি আইনত আরেকটি দেশের নাগরিকত্ব পেতে পারে। ফেব্রুয়ারি মাসে আদালত রায় দেয় যে শামীমা বেগমের নাগরিকত্ব বাতিল বৈধ কারণ সে সময় আইনত তিনি ছিলেন “বংশগতভাবে বাংলাদেশের নাগরিক”। ধারণা করা হয় মায়ের নাগরিকত্বের সুবাদে শামীমা বেগম বাংলাদেশি নাগরিকত্ব দাবি করতে পারেন।
তবে সে সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয় যে, শামীমা বেগম বাংলাদেশি নাগরিক নন এবং তিনি কখনো বাংলাদেশে আসেননি। তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে নেওয়ার কোন প্রশ্নই ওঠে না।