বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জে বন্যায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৬০০ কি.মি. সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ১৯টি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল। ৪০টি সেতু ও কালভার্ট ভেঙ্গে গেছে। ৩০টি সেতুর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে গেছে। এতে প্রায় ৪৫০ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সুনামগঞ্জ জেলা শাখা।
সুনামগঞ্জে প্রথম দফা বন্যা হয় ২৫-২৯ জুন পর্যন্ত। দ্বিতীয় দফা বন্যার হয় শুরু ৯ জুলাই থেকে। এখন পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণ বন্ধ থাকায় পানি কমলেও রাস্তাঘাট ধসে পড়ছে। কোন এলাকায় রাস্তার চিহ্নই মুছে গেছে। এতে আরো ক্ষয়-ক্ষতি বাড়ছে। বন্যার পানি কমে গেলে প্রকৃত ক্ষয়-ক্ষতির হিসেবে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তর।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে প্রথম দফা বন্যায় জামালগঞ্জ-সুনামগঞ্জ সড়কের উজ্জ্বলপুর এলাকায় একশ মিটারের বেশি সড়ক ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ছাতক-সুনামগঞ্জ সড়কের দোহালিয়া-নোয়াগাও এলাকায় প্রায় ৩৫০ মিটার পাকা সড়ক পাহাড়ি ঢলের তোড়ে সম্পূর্ণ ভেঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ১৯টি সড়ক বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে জেলা ও উপজেলার সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ আছে এসব এলাকায়। সড়কগুলো এখনো নিমজ্জিত থাকায় ক্ষয়-ক্ষতি আরো বাড়তে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে মূলত সুরমা নদী তীরবর্তী ও সীমান্ত এলাকার সড়কগুলোই বেশিরভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাহাড়ি ঢলের তোড়ে সড়কগুলো ভেঙ্গে যাওয়ায় শুধু যোগাযোগই বিচ্ছিন্ন হয়নি রাস্তাটিই বিলীন হয়ে গেছে। এতে দীর্ঘস্থায়ী যাতায়াত ভোগান্তিতে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা।
পান্ডারগাও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা আজিজ বলেন, আমার ইউনিয়নের নোয়াগাও এলাকায় প্রায় ৩৫০ মিটার জায়গা সেতুসহ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এখন ছাতক-দোয়ারার সঙ্গে জেলা সদরের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। রাস্তাটি এখনো নিমজ্জিত থাকায় আরো ক্ষতি হবে। তিনি বলেন, দুই দফা বন্যায় এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কসহ বিভিন্ন এলাকার সড়কগুলো বিলীন হয়ে গেছে।
সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাদের ৪০টি সেতু-কালভার্ট, ৩০টি সেতুর প্রতিরক্ষাসহ প্রায় ৬০০ কি.মি. সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিক হিসেবে প্রায় ৪৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে পানি কমে গেলে পূর্ণাঙ্গ ক্ষতির চিত্র পাব আমরা।