স্টাফ রিপোর্টার::
করোনাকালে অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের বেশিরভাগই নিজেদের গুটিয়ে রেখেছেন নিরাপদে। এন ৯৫ মাস্কসহ নানা সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে কোন কোন জনপ্রতিনিধি হঠাৎ হঠাৎ মানুষকে সহায়তা করছেন। কিন্তু পৌর মেয়র নাদের বখত করোনার শুরু থেকেই সাধারণ মাস্ক পড়ে জনগণের পাশে থেকে নানাভাবে কাজ করছেন। দুর্যোগে জনগণের পাশে শুরু থেকেই অক্লান্ত কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। সরকারি ত্রাণের স্বচ্ছ বণ্ঠনসহ নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকেও তিনি সাধ্যমতো সহায়তার কাজ করে যাচ্ছেন। বন্যা ও করোনায় নাজেহাল পৌরবাসীর পাশে থেকেই ত্রাণ সহায়তাসহ তাদেরকে মানসিক শক্তি জুগাচ্ছেন তিনি। ফলে সাধারণ মানুষরা তার অকৃত্রিম কাজের প্রশংসা করছেন।
সম্প্রতি সুনামগঞ্জ শহরের মানুষ তিনদফা বন্যায় নাজেহাল হন। অসহায় মানুষজন আশ্রয় নেন বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে। পৌর মেয়র নাদের বখত কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে রান্না করা খাবার নিয়ে পাশে দাড়ান তিনি। বানভাসীদের হাতে তুলে দেন রান্না করার খাবার। তাছাড়া বন্যা ও করোনা উপলক্ষে সরকারি যত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা যাতে যথাযতভাবে অসহায় মানুষের কাছে পৌছে সে জন্য তিনি কাউন্সিলরদের বিশেষ নির্দেশনা দিয়ে রেখেছেন। যার ফলে প্রতিটি তালিকাতে স্বচ্ছতাসহ পুরো বরাদ্দ বণ্ঠনে নিজে তদারকি করছেন তিনি। এতে প্রকৃতদের বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা কমেছে বলে জানিয়েছেন রাজনীতি সচেতন মানুষজন। তাছাড়া তার ঘনিষ্টজনরা জানিয়েছেন তিনি করোনা ও বন্যাকালে একদিনও ঘরে বসে থাকেননি। প্রতিদিনই বিভিন্ন পাড়ায় ঘুরে ঘুরে মানুষের খবর নিচ্ছেন। তাদের মানসিক ভরসা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছেন।
পৌর মেয়র নাদের বখত বলেন, আমি শুরু থেকেই ত্রাণ বিতরণে স্বচ্ছতার আশ্রয় নিয়েছি। দায়িত্বপ্রাপ্তদের বলেছি যাতে স্বচ্ছতার সঙ্গে তালিকা করা হয়। আমি জনগণকে কথা দিয়েছিলাম তাদের আমানত খেয়ানত করবনা। যত বড় দুর্যোগই আসুক আমি তাদের পাশে থেকে কাজ করে যাব। এটা জনগণকে দেওয়া অঙ্গিকার আমার।