হাওর ডেস্ক::
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরো ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৫২০ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ৮৭৪ জনের। আর সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছেন দুই লাখ ২১ হাজার ১৭৮ জন।
আজ শনিবার (২৫ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বুলেটিন প্রকাশে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে দেশে আরো ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁরা ২৯ জন পুরুষ এবং ৯ জন নারী। এঁদের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে আটজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে চারজন এবং ১০০ বছরের উর্ধ্বে একজন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ৮৭৪ জনের।
এ পর্যন্ত যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁদের মধ্যে পুরুষ দুই হাজার ২৬৬ জন এবং নারী ৬০৮ জন। আর বয়স বিবেচনায় এ পর্যন্ত যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁরা এঁদের বয়স ০ (শূন্য) থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ৩০ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৮২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৯৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪০৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৮৩৭ জন এবং ষাটোর্ধ এক হাজার ৩০৬ জন।
জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা ঢাকা বিভাগের ১৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের চারজন, রাজশাহী বিভাগের আটজন, খুলনা বিভাগের চারজন, সিলেট বিভাগের একজন, রংপুর বিভাগের একজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের তিনজন। হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৪ জন, বাসায় তিনজন এবং মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয় একজনকে।
বিভাগ অনুযায়ী এ পর্যন্ত যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁরা ঢাকা বিভাগের এক হাজার ৩৮৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৭৭১ জন, রাজশাহী বিভাগের ১৬৭ জন, খুলনা বিভাগের ১৯৮ জন, বরিশাল বিভাগের ১০৯ জন, সিলেট বিভাগের ১৩৪ জন, রংপুর বিভাগের ১০৫ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ৬১ জন।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ১১৪ জন। এ নিয়ে দেশের করোনা সংক্রমণ থেকে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ২২ হাজার ৯০ জন।
ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৯ হাজার ৬১৫টি। একই সময় পূর্বের নমুনাসহ পরীক্ষা হয়েছে ১০ হাজার ৪৪৬টি। এর মধ্যে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে দুই হাজার ৫২০ জনকে। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন দুই লাখ ২১ হাজার ১৭৮ জন। আর এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১১ লাখ এক হাজার ৪৮০টি।
আইসোলেশন প্রসঙ্গে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরো ৬৪৯ জনকে। একইসময় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৪১৭ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে গেছেন ৪৬ হাজার ৫৫৯ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৭ হাজার ৩৫৭ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৯ হাজার ২০২ জন।
কোয়ারেন্টিন প্রসঙ্গেও তথ্য দেওয়া হয় বুলেটিনে। বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিনে গেছেন এক হাজার ৭০৯ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে গেছেন মোট চার লাখ ২৩ হাজার ৪৬১ জন। ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক হাজার ৭৮৯ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন লাখ ৬৪ হাজার ১১ জন। ছাড়ের পর বর্তমানে হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৯ হাজার ৪৫০ জন।
সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে সেবা প্রদান যায় বলে জানানো হয় বুলেটিনে।
বুলেটিনে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়ন এবং আইইডিসিআর’র হটলাইনে কল এসেছে ৮১ হাজার ১৩৪টি। এ নিয়ে এ পর্যন্ত ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে এক কোটি ৭৪ লাখ ৭৪ হাজার ৬৮৭টি। এসব কলে সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
টেলিমেডিসিন সেবায় প্রতিদিন ৩৫ জন চিকিৎসক এবং ১০ জন স্বাস্থ্যতথ্য কর্মকর্তা দুই শিফটে মোট ৯০ জন টেলিমেডিসিনে করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় তাঁদের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করেছেন চার হাজার ৫১০ জন। এ পর্যন্ত এক লাখ ২৫ হাজার ৮৫ জন এই সেবা গ্রহণ করেছেন বলে জানানো হয় বুলেটিনে।