হাওর ডেস্ক::
নাইকোর মামলায় বাংলাদেশ জেতার পর সিলেট গ্যাস লিমিটেড এর সি.বি.এ. ও নন সি. বি. এ. দুইটি ইউনিয়ন তাদের মালিকানায় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা টেংরাটিলা কূপ খননের অনুমতি চেয়ে জ্বালানী মন্ত্রণালয়ে লিখিত আবেদন করেছে। দেশের স্বার্থে এটিকে যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে স্বাগত জানিয়েছেন টেংরাটিলাবাসী। সিলেট গ্যাস ফিল্ডকে টেংরাটিলায় কূপ খননের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে টেংরাটিলা দাবি আদায় সংগ্রাম পরিষদ।
টেংরাটিলা দাবি আদায় সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক নুরুল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক শামসুল আলম মাস্টার ও তোফাজ্জুল ইসলাম বিবৃতিতে বলেন, টেংরাটিলায় পূর্ব ও পশ্চিম স্ট্রাকচার নিয়ে অফুরন্ত গ্যাস ক্ষেত্র। ২০০৩ সালে পশ্চিম স্ট্রাকচারকে পরিত্যাক্ত ঘোষণা করে জে.ভি.এ. চুক্তির মাধ্যমে নাইকোর হাতে তুলে দেওয়ার পর অধক্ষতার কারণে ২০০৫ সালে দুইবার ব্লো আউটের ফলে অপুরণীয় ক্ষয়ক্ষতির খেসারত আজও দিতে হচ্ছে রাষ্ট্র, সিলেট গ্যাস ফিল্ড ও টেংরাটিলাবাসীকে। আজও বুদ বুদ আকারে গ্যাস নির্গত হয়ে নষ্ট হচ্ছে রাষ্ট্রীয় সম্পদ গ্যাস। তেমনি বাতাসের সাথে মিশ্রিত হয়ে বিনষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। গ্যাস মিশ্রিত ঝাঝাল বাতাসের মধ্যে টেংরাটিলার মানুষ বসবাস করে শ্বাসকষ্ট, ক্যান্সার, রক্তচাপ আর্সেনিক সহ নানা মরণব্যাধি জটিল রোগে শিশু, নারী, পুরুষ আক্রান্ত হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, টেংরাটিলায় গ্যাস উত্তোলন না করা পর্যন্ত পরিবেশ আগের অবস্থানে ফিরে আসবে না। সিলেট গ্যাস ফিল্ড নিজ অর্থায়নে ও অভিজ্ঞতায় ১০/১২ কূপ খনন করে গ্যাস উত্তোলনে দেশের প্রথম গ্যাস বিপ্লব সূচনা করে। টেংরাটিলায় নিজের অর্থায়নে ২/৩টি কূপ খননের সক্ষমতা তাদের আছে। বর্তমানে টেংরাটিলায় দৃশ্যমান একটি আধুনিক প্রসেস প্লান্ট, ৪০০ মিটার গভিরে একটি গ্যাস কূপ যা প্রসেস প্লান্টের সাথে সংযুক্ত। পরীক্ষামূলক ঐ কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন করে মাস্টার ভাল্প দ্বারা আটকানো আছে। পূর্ব স্ট্রাকচারে কূপ খননের জন্য একটি ডিলিং পেড সহ আড়াই কিলোমিটার নিজস্ব সড়ক নির্মাণ কাজ সমাপ্ত। টেংরাটিলা হতে ছাতক পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার ১২ইঞ্চি ব্যাস পাইপ লাইনের কাজ সম্পন্ন।
আমরা মনে করি সিলেট গ্যাস ফিল্ডকে টেংরাটিলা কূপ খননের অনুমতি দিয়ে দ্রুত গ্যাস উত্তোলন করা হয় তাহলে গ্যাস অপচয়, পরিবেশ দূষণ, রোগ-বালাই সহ দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাবে। দেশের গ্যাস সংকটময় মুহুর্তে কিছুটা লাঘব হবে।