বিশেষ প্রতিনিধি::
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, বর্ষায় হাওরে জেলে-কৃষক মাছ ধরবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ এখন কোনটা জলাশয়, কোনটা হাওর তা চিহ্নিতের কোন সুযোগ নেই। তাই ভাসান পানিতে তাদের মাছ ধরার সুযোগ দিতে হবে। কোন ইজারাদারের প্রতিনিধি হয়ে প্রশাসন যাতে আমার হাওরের জেলে-কৃষকদের জীবিকায় আঘাত করতে না পারে। তাই এই মুহুর্তে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে আমাদের গভীরভাবে ভাবতে হবে। তিনি বলেন, করোনার কারণে বিশ্বে খাদ্য নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থান ঝূঁকিতে আছে। এই অবস্থায় হাওর আমাদের অবারিত সুযোগ এনে দিয়েছে। সেই সুযোগ প্রাকৃতিকভাবেই কাজে লাগাচ্ছেন হাওরের কর্মহীন জেলে-কৃষক। তাদের জীবিকা নির্বাহে আঘাত করা যাবেনা। উত্তরাধিকারসূত্রে বর্ষার হাওরে তারা অতীতে যেভাবে নির্বিগ্নে হাওরে মাছ ধরছেন সেই সুযোগ দিতে হবে। হাওরটুয়েন্টিফোরডটনেটের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান আরো বলেন, আমি খবর পাচ্ছি হাওরের জেলে-কৃষকদের মাছ ধরার বাধা দিচ্ছে প্রশাসন। তারা কার স্বার্থ রক্ষা করছে তা হাওরবাসী হিসেবে আমার জানার আছে। পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান আরো বলেন, হাওরের জেলেরা জাল দিয়ে পুটিমাছ, ধারকিনা, টেংরা, খইয়া মাছ, চান্দা মাছ ধরছে। এগুলো ধরাকে মৎস্যনিধন বলেনা। হাওরের মৎস্য আহরণ মওসুমে যখন অবাধে পরিবেশ নীতিমালা ভঙ্গ করে জলমহাল শুকিয়ে মাছ ধরার হয় তখন মাছের বংশ নিধন হয়। তখন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা উচিত। তখন কেন এটা করা হয়না। আমাদের এসব ভাবতে হবে। তিনি বলেন, আমি এ বিষয় নিয়ে বিবৃতি দেবার চিন্তা করছি।
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান আরো বলেন, করোনাপরিস্থিতিতে সারাবিশ্বেই মানুষ কর্মসংস্থান হারাচ্ছে। আমাদের এখানেও কর্মসংস্থান হারিয়ে অনেকে বাড়িতে ফিরছে। হাওরের অনেক দিনমজুর মানুষও বিভিন্ন স্থান থেকে কর্ম হারিয়ে হাওরের কাছেই আশ্রয় নিচ্ছে। তারা করোনার শুরুতে হাওরে এসে ধান কেটে খোরাকি সংগ্রহ করেছে। এখন মাছ ধরছে। তাদের এটা করতে দিতে হবে। কোনভাবেই বাধা দেওয়া যাবেনা। অভিযান চালানো যাবেনা।