ধর্মপাশা প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় হাওরের ওপার থেকে ‘কচুর লতা’ তুলতে গিয়ে হাওরে নৌকা ডুবির ঘটনায় প্রায় ৩ ঘণ্টা চেষ্টার পর মায়ের লাশ উদ্ধার করা হলেও ছেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছে। আজ বুধবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের ভাটগাঁও গ্রামের পাশের হলদির হাওরে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ওই ইউনিয়নের ভাটগাঁও গ্রামের বিদ্যা মিয়ার স্ত্রী কাজল আক্তার (৪২) ও তাঁর ছেলে কাঞ্চন মিয়া (১৭)।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকেলে বিদ্যা মিয়ার স্ত্রী কাজল আক্তার তাঁর ছেলে কাঞ্চন মিয়াকে নিয়ে ছোট একটি নৌকাযোগে বাড়ির পাশের হলদির হাওর পাড়ি দিয়ে গোমাই নদীর চরের উঁচু জায়গা থেকে কচুর লতা তুলে আনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। পরে তাদের নৌকাটি ওই হাওরের মাঝামাঝি স্থানে যাওয়া মাত্রই আকস্মিক ঝড়ো বাতাসের কবলে পরে সেখানে ডুবে গিয়ে মা-ছেলে দুইজনই নিখোঁজ হয়। পরে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে বেশ কয়েকটি ট্রলার নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং তারা সেখানে জাল ফেলে প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপি চেষ্টা চালিয়ে মা কাজল আক্তারের মৃতদেহ উদ্ধার করতে পারলেও ছেলে কাঞ্চন মিয়া এখনো রয়েছে।
উপজেলার পাইকুরাটি ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফেরদৌসুর রহমান এ দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রায় আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা ব্যাপী সময় চেষ্টার পর মা কাজল আক্তারের মৃতদেহ উদ্ধার করা হলেও তার নিখোঁজ ছেলে কাঞ্চন মিয়ার মৃতদেহ উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।