হাওর ডেস্ক::
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরো ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৬৫৪ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার ২৬৭ জন। আর সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছেন দুই লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৪ জন।
আজ বুধবার (৫ আগস্ট) করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সরকারি বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বুলেটিন প্রকাশে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে দেশে আরো ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁরা ২৫ জন পুরুষ এবং আটজন নারী। এঁদের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে চারজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আটজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন এবং ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে দুইজন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার ২৬৭ জনের।
এ পর্যন্ত যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁদের মধ্যে পুরুষ দুই হাজার ৫৭৪ জন এবং নারী ৬৯৩ জন। আর বয়স বিবেচনায় এ পর্যন্ত যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁরা এঁদের বয়স ০ (শূন্য) থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ৩২ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৮৭ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২১৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪৫২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৯৩৮ জন এবং ষাটোর্ধ এক হাজার ৫২৬ জন।
জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা ঢাকা বিভাগের ১৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৯ জন, খুলনা বিভাগের একজন, রাজশাহী বিভাগের একজন, রংপুর বিভাগের তিনজন এবং বরিশাল বিভাগের একজন। হাসপাতালে মারা গেছেন ৩১ জন এবং বাসায় দুইজন।
বিভাগ অনুযায়ী এ পর্যন্ত যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁরা ঢাকা বিভাগের এক হাজার ৫৬৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৭৮৪ জন, রাজশাহী বিভাগের ১৯৯ জন, খুলনা বিভাগের ২৩৮ জন, বরিশাল বিভাগের ১২৮ জন, সিলেট বিভাগের ১৫৪ জন, রংপুর বিভাগের ১২৭ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ৭০ জন।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৮৯০ জন। এ নিয়ে দেশের করোনা সংক্রমণ থেকে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৪১ হাজার ৭৫০ জন।
ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১১ হাজার ৯৬৪টি। একই সময় পূর্বের নমুনাসহ পরীক্ষা হয়েছে ১১ হাজার ১৬০টি। এর মধ্যে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে দুই হাজার ৬৫৪ জনকে। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন দুই লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৪ জন। আর এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১২ লাখ ১২ হাজার ৪১৬টি।
আইসোলেশন প্রসঙ্গে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরো ৭৫৮ জনকে। একইসময় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৭৯৪ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে গেছেন ৫৩ হাজার ৪০৫ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৯৫০ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৪৫৫ জন।
কোয়ারেন্টিন প্রসঙ্গেও তথ্য দেওয়া হয় বুলেটিনে। বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিনে গেছেন এক হাজার ৮৪৭ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে গেছেন মোট চার লাখ ৪৩ হাজার ৬৭৯ জন। ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৬১৩ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন লাখ ৯০ হাজার ৩২৯ জন। ছাড়ের পর বর্তমানে হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৩ হাজার ৩৫০ জন।
বুলেটিনে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়ন এবং আইইডিসিআর’র হটলাইনে কল এসেছে ৭১ হাজার ৫১৪টি। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট ফোনকল এসেছে এক কোটি ৮২ লাখ ৫৩ হাজার ৫১৭টি। এসব কলে সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
টেলিমেডিসিন সেবায় প্রতিদিন ৩৫ জন চিকিৎসক এবং ১০ জন স্বাস্থ্যতথ্য কর্মকর্তা দুই শিফটে মোট ৯০ জন টেলিমেডিসিনে করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় তাঁদের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করেছেন চার হাজার ২৯৪ জন। এ পর্যন্ত এক লাখ ৬৪ হাজার ৯২১ জন এই সেবা গ্রহণ করেছেন বলে জানানো হয় বুলেটিনে।