বিশেষ প্রতিনিধি::
‘করোনা মহামারিতে আদিবাসীদের জীবন জীবিকার সংগ্রাম’ প্রতিপাদ্য নিয়ে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালিত হয়েছে। উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের বড়গোফটিলা গারো আদিবাসী ফুটবল মাঠে রবিবার সকালে এ উপলক্ষে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ক্ষুদ্র নৃতাাত্বিক জনগগোষ্ঠীর নেতারা সুরক্ষা ও অধিকার বাস্তবায়নের দাবি জানান। পাশাপাশি করোনা মহামারিতে সারাদেশের কর্মহীন আদিবাসীদের সহায়তারও দাবি জানান।
কড়ইগড়া বড়গোফ গারো আদিবাসী যুবসংঘ আয়োজিত অনুষ্ঠানে সুনীল দাজেলের সভাপতিত্বে ও সুলভ দিব্রার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় বক্তব্য দেন গ্রাম মোড়ল রমেশ সলোমার, সাবেক ট্রাইবাল চেয়ারম্যান পরিতোষ চাম্বুগং, সাবেক ট্রাইব্যাল সেক্রেটারি যতীন্দ্র রাকসাম, সিনটের সেক্রেটারি শঙ্কর মারাক, রবার্ট আরেং, সুধীর দিব্রা, লুলেন্দ্র দাজেল, জন রবার্ট চাম্বুগং, স্বপন দিও, টমাস মাজি, আবলুক দিও, স্লিপ চিশিম, স্বপন চিশিম, প্রজেকশন মানকিন, মাধবী দীব্রা, শিক্ষিকা দীপালী দিব্রা, নজরুল বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্র অনাশীষ দিব্রা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আমরা আদিবাসী। কিন্তু আমাদেরকে ক্ষুদ্র নৃতাত্বিক জনগোষ্ঠী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। আমরা নানাভাবে নিপীড়িত হচ্ছি। ভূমি সমস্যার অনেকে বাস্ত্যুচ্যুত হচ্ছে। আমাদের জীবন-জীবিকা নানামূখি সংকটে পতিত। আমরা আমাদের ন্যায্যতা, অধিকার ও সুরক্ষার দাবি জানাই। বক্তারা বলেন, আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব মেনে এদেশের কৃষ্টি ও কালচার ধারণ করি। একই সঙ্গে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকেও লালন করি। কিন্তু রাষ্ট্র ও সরকার কর্তৃক আমরা নানাভাবে এখনো উপেক্ষার স্বীকার।
বক্তারা বাঙালি আদিবাসীদের পারষ্পরিসক সম্পর্ক ও বিশ্বাস বজায় রেখে চলারও আহ্বান জানান।
করোনা মহামারিতে কর্মহারানো আদিবাসীরা এখন নতুন সংকটে পড়েছেন উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, আমাদের পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীকে সরকারি সহায়তায় নিয়ে আসতে হবে।
আলোচনাসভা শেষে ক্ষুদ্র নৃতত্বাত্বিক গোষ্ঠীর নৃত্যশিল্পী বর্ণালি দিব্রা, ইতিকনা দিব্রা, তিলোত্তমা দিব্রা ও রুপা দিব্রা সঙ্গিত পরিবেশন করেন।