স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধে পিআইসি (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কৃষকদের অংশগ্রহণে গঠিত) এর বদলে ঠিকাদারদের দিয়ে বাঁধ নির্মাণের কাজ করাতে আগ্রহী পানি উন্নয়ন বোর্ড। একই সঙ্গে ঠিকাদারদের তুলনায় ঝূকিপূর্ণ কাজে পিআইসিকে নিয়োজিত করা হয়। পিআইসিকে প্রয়োজনীয় তহবিল না দেওয়া, চড়া সুদে ঋণ নিয়ে বাধের কাজ করানোসহ নানা কারণে বাধের কাজে বিলম্ব হয়। এতে অনেক সময় হাওরের ফসল ঝূকিতে থাকে।
সোমবার দুপুরে সুনামগঞ্জ শহীদ জগৎজ্যোতি পাঠাগার মিলনায়তনে হাওর এডভোকেসি প্লাটফরম (হ্যাপ) আয়োজিত হারের বাধ পরিদর্শন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলন সংগঠনের নেতারা জানান, এক সময় সুনামগঞ্জের হাওরের ফসলরক্ষা বাধ নির্মাণে ৬-৭ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া যেতোনা। এখন ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। প্রতি বছর এত অল্প সময়ে এত বিপুল অর্থ বরাদ্দের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। গত ১১-১৩ মার্চ সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়, ৫টি হাওরের ফসলরক্ষা বাধ পরিদর্শন এবং প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করে বাধের কাজে নানা অসঙ্গতির বিষয় উল্লেখ করেন নেতৃবৃন্দ।
সাংবাদিক সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা আরো বলেন, এখন পানি উন্নয়ন বোর্ড পিআইসির বদলে ঠিকাদারদের দিয়ে বড় বড় কাজ করাতে আগ্রহী। অন্যদিকে পিআইসিকে অল্প বরাদ্দ দিয়ে ঝূকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত করা হয়। যথা সময়ে টাকা না দেওয়ায় পিআইসির লোকজন চড়া সুদে ঋণ এনে বাধের কাজ করেন। যার ফলে তারাও নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। জনগণের এই বিপুল অর্থ অপচয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।
সাংবাদিক সম্মেলনে হ্যাপের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নেতা শরিফুজ্জামান শরিফ, মিহির বিশ্বাস, তাপস চক্রবর্তী, নির্মল ভট্টাচার্য্য প্রমুখ।