তাহিরপুর প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সুকৌশলে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি টাকা আত্মসাত করে আত্মগোপনে থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত ব্যক্তি তাহিরপুরের বাদাঘাট ইউনিয়নের কামড়াবন্দ গ্রামের বাসিন্দা কাচা মিয়ার ছেলে মো. তৌফিক মিয়া(৩০)।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রতারণার শিকার ব্যবসায়ীদের পক্ষে তাহিরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বাদাঘাট বাজারের সোনিয়া ইলেকট্রনিকসের স্বত্বাধিকারী মো. আসাদ মিয়া।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাদাঘাট বাজারে দীর্ঘদিন যাবত মুদি ব্যবসা করে আসছিল তৌফিক স্টোরের মালিক মো. তৌফিক মিয়া এরই সুবাদে বাজারের প্রতি ২০ জন ব্যবসায়ীকে নিয়ে কয়েকটি গ্রুপ করে প্রতিদিন জনপ্রতি ৫০০ টাকা হারে প্রায় লক্ষাধিক টাকা জমা নিতো সে। পরবর্তীতে ১০ দিন পর পর লটারির মাধ্যমে প্রতি গ্রুপের একজনকে বিজয়ী করে সমুদয় টাকা প্রদান করা হতো।
পরবর্তীতে ঐ ব্যক্তি বিনাসুধে সমুদয় টাকা পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করতো। ঐ পদ্ধতিতে প্রত্যেক সদস্য তার জমানো টাকা ফেরত পেত। প্রতি গ্রুপের জমানো টাকার বিপরীতে অতিরিক্ত মুনাফার লোভ দেখিয়ে বাজারের আসাদ মিয়ার ১৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকা সহ আরও ২৫/২৬ জন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কয়েক দফায় মোট ৯৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে গত ১৩ আগস্ট থেকে পালিয়ে যায় তৌফিক।
অদ্যাবধি পাওনাদাররা অনেক খোজাখুজি করে তৌফিকের সন্ধান না পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাহিরপুর থানায় তৌফিক ও তার সহোদর শামিম আল মামুন(২৬) ও তাদের পিতা কাচা মিয়াকে অভিযুক্ত করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
বাদাঘাট বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. সেলিম হায়দার বলেন, আসাদ মিয়াসহ প্রতারণার শিকার অন্যান্য ব্যবসায়ীরা আমাদেরকে বিষয়টি অবগত করলে আমরা সমিতির পক্ষ থেকে ভুক্তভোগীদেরকে আইনের আশ্রয় নেয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত তৌফিক মিয়ার ব্যাক্তিগত মোবাইল ০১৭৪৭-২২০২৩০/০১৯৭৭২২০৯২৮ নাম্বারে একাধিক বার কল করা হলে নাম্বার দুটি পাওয়া যায়।
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টির তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।