হাওর ডেস্ক::
আমেরিকা ও ইউরোপের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে করোনা থেকে সেরে ওঠাদের রক্তে প্রায় দ্বিগুণ অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছে ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস)। এ কারণে প্লাজমা থেরাপির জন্য এ অঞ্চলের দাতাদের খোঁজ করছেন যুক্তরাজ্যের চিকিৎসকরা। জরুরি ভিত্তিতে ভারত থেকে প্লাজমাদাতা চেয়ে পাঠিয়েছে এনএইচএস।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের ব্লাড অ্যান্ড ট্রান্সপ্লান্টের কনসালট্যান্ট হেমাটোলজিস্ট রেখা আনন্দ বলেছেন, এখনো পর্যন্ত এশিয়া কমিউনিটির ৭ শতাংশ দাতা প্লাজমা দিয়েছেন। আরো বেশিসংখ্যক প্লাজমাদাতার প্রয়োজন। ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে প্লাজমাদাতার খোঁজ করা হচ্ছে।
কনভালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপিতে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির রক্ত থেকে প্লাজমা নিয়ে আক্রান্তের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। এর একটাই কারণ—সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির রক্তরস বা প্লাজমায় যে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে তা বিশেষ পদ্ধতিতে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে ট্রান্সপ্লান্ট করা। ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন যিনি তাঁর অ্যান্টিবডি রোগীর শরীরে গিয়েও একই রকম ক্ষমতা দেখাবে বলেই দাবি গবেষকদের। এই পদ্ধতি প্লাজমা এক্সচেঞ্জের থেকে আলাদা। প্লাজমা এক্সচেঞ্জে আক্রান্তের শরীরের রক্তরস বা প্লাজমার পুরোটাই সুস্থ দাতার প্লাজমা দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়। তবে এ ক্ষেত্রে অ্যান্টিবডির জন্যই সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির প্লাজমা ইনজেক্ট করা হবে রোগীর শরীরে। এনএইচএসের চিকিৎসক শ্রুতি নারায়ণ বলেছেন, দাতার কাছ থেকে প্লাজমা রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করার ৪৫ মিনিটের মধ্যেই কাজ শুরু হতে থাকে। দাতার থেকে নেওয়া প্লাজমা এবং তাঁর মধ্যকার অ্যান্টিবডি রোগীর শরীরে ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
সূত্র : দ্য ওয়াল।