অনলাইন ডেক্স::
ত্বকে বয়সের ছাপ পড়েছে কিংবা চুল পড়ে যাচ্ছে? সবকিছুর সমাধান করে ফেলতে পারবেন ডিমের সাহায্যে। বিশ্বাস হচ্ছে না? তাহলে জেনে নিন ডিমের সৌন্দর্য্য রক্ষার দাওয়াই। আর প্রয়োগ শুরু করুন।
ডিম খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার তাতে সন্দেহ নেই। ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম, ভিটামিন এ ডি, বি৬ ইত্যাদি যা দেহের সুরক্ষায় অনেক বেশি কার্যকরী। তবে ডিম শুধুমাত্র শারীরিক সুস্থতাতেই নয়, সৌন্দর্য চর্চায় আরও অনেক বেশি কার্যকরী।
আজকে চলুন জেনে নেয়া যাক এমনই অসাধারণ অজানা কিছু ব্যবহার যা সত্যিই অবাক করবে আপনাকে।
ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতেঃ ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে অনেকেই অনেক অ্যান্টিএইজিং ক্রিম ও নানা কেমিক্যাল সমৃদ্ধ মাস্ক ব্যবহার করে থাকেন। এর চাইতে ব্যবহার করুন সহজলভ্য এবং কার্যকরী ডিমের মাস্ক। একটি ডিমের সাদা অংশে কয়েক চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এরপর এতে দিন ক্লে, যদি ক্লে দিতে না চান তাহলে চন্দনগুঁড়ো মেশাতে পারেন। মুখ, ভধপব গলা ও ঘাড়ে লাগিয়ে নিন। এই মাস্কটি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ বার ব্যবহারে বেশ ভালো ফলাফল পাবেন।
ত্বকের মরা কোষ দূর করতেঃ ত্বকের উপরে মরা কোষ জমলে ত্বক অনেক কালচে হয়ে যায় এবং ত্বকের আসল সৌন্দর্য ইবধঁঃু হারাতে থাকে। এই সমস্যা সমাধান করে দেবে ডিম। কয়েকটি ডিমের খোসা ব্লেন্ডারে দিয়ে একেবারে মিহি গুঁড়ো করে নিন। এরপর তা একটি বাটিতে নামিয়ে নিয়ে এতে মেশান মধু ও লবণ। ভালো করে মিশিয়ে এই পেস্টটি পুরো দেহের ত্বকে আলতো ম্যাসাজ করে নিন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। খুব সহজেই ত্বকের ংশরহ মরা কোষ দূর হয়ে যাবে।
চুলের ঘনত্ব বাড়াতেঃ চুল পড়ে একেবারেই পাতলা হয়ে গিয়েছে? এই সমস্যার সমাধানও করবে ডিম। একটি ডিমের সাদা অংশ নিয়ে এতে একটি মাঝারি আকারের লেবু চিপে দিন।এবারে খুব ভালো করে ফেটিয়ে ফেনা করে ফেলুন। এই মিশ্রণটি চুলের গোঁড়ায় ঘষে লাগান এবং পুরো চুলে লাগিয়ে নিন ভালো করে।আধা ঘণ্টা এভাবে রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ বার ব্যবহারে চুল পড়া যধরৎ ভধষষ কমে যাবে এবং চুলের ঘনত্ব যধরৎ মৎড়ঃিয বৃদ্ধি পাবে।