স্টাফ রিপোর্টার::
টেকেরঘাট সাবসেক্টরের দুঃসাহসিক মুক্তিযোদ্ধা, সংগঠক ও দেশখ্যাত প্রখ্যাত সাংবাদিক সালেহ চৌধুরীর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছে সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাব। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সুনামগঞ্জ শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় সাংবাদিক ও সুধীজন বক্তব্য দেন।
মৃত্যুবার্ষিকী অনুষ্ঠানে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সালেহ চৌধুরী তার কর্মের মধ্যেই অমর হয়ে আছেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা ভাতা নিজে ভোগ না করে সেই ভাতায় একাত্তরের সহযোদ্ধাদের সমাধীসহ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ নির্মাণে ব্যয় করেছেন। আমতৃ্যু তিনি প্রগতি ও স্বাধীনতার পক্ষে নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে গেছেন। বক্তারা বলেন, মাতৃভূমিকে বাঁচাতে তিনি ১৯৭১ সনে কলম ফেলে দিয়ে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। টেকেরঘাট সাবসেক্টরের অধীনে হাওর-ভাটিতে সাহসী গেরিলা বাহিনী নিয়ে তিনি আঞ্চলিক সমন্বয়ক হিসেবে যুদ্ধ করেছিলেন। তার পরিকল্পনায় মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানী হানাদার ও রাজাকার বাহিনীকে পরাজিত করে হাওরাঞ্চলকে মুক্ত করেছিলেন। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ আগামীতেও এই গুণী ব্যক্তিত্বকে প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে স্মরণ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি এটিএন বাংলা ও দৈনিক সমকাল পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি এবং দৈনিক সুনামগঞ্জের খবরের সম্পাদক পঙ্কজ কান্তি দে’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় বক্তব্য দেন লেখক-গবেষক ইকবাল কাগজী, সুনামগঞ্জ শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সালেহ আহমদ, দৈনিক প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার খলিল রহমান, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক একেএম মহিম, প্রেসক্লাবের সহসভাপতি, দৈনিক কালের কণ্ঠ ও একাত্তর টিভির জেলা প্রতিনিধি শামস শামীম, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক, জনকণ্ঠ ও মাছরাঙা টিভির জেলা প্রতিনিধি এমরানুল হক চৌধুরী, প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও যমুনাটিভির প্রতিনিধি মাহমুদুর রহমান তারেক প্রমুখ।
স্মরণসভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন সালেহ চৌধুরীর ভাতিজা চৌধুরী শামস উদ্দিন রুমী। ভিডিও কনফারেন্সে সালেহ চৌধুরীর ছেলে গ্রামীণ ফোনের সিইও ইয়াসির আজমান চৌধুরী ও ওবায়েদ আজমান চৌধুরী যুক্ত থাকার কথা থাকলেও নেটওয়ার্ক জঠিলতার কারণে সম্ভব হয়নি। তবে তারা সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।