স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় আবদুল কুদ্দুছ শিপন নামের এক ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ওই ব্যবসায়ীর পরিবার।
আহত ব্যবসায়ীর বড় ভাই আবদুল মজিদ লিটনের অভিযোগ থেকে জানা যায়, এক বছর ধরে পরিবারের লোকজনকে নিয়ে তিনি শহরের ষোলঘর এলাকার আবদুল্লাহ খানের বাসার নিচতলায় ভাড়া থাকেন। সোমবার সন্ধ্যায় তিনি বাসা থেকে বের হওয়ার সময় বিদ্যুতের বাতি নেভানো নিয়ে বাসার মালিকের ছেলে নিঝুম খানের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় দ্বিতীয়তলা থেকে নেমে আসেন আবদুল্লাহ খান ও তার আরেক ছেলে নাজিম খান। এরপর তারা আবদুল মজিদের ওপর হামলা চালান। এ সময় তার মা এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করা হয়। পরে তার মাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করান তারা এবং বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন। এ ঘটনার জেরে মঙ্গলবার দুপুরে শহরের ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সামনের সড়কে আবদুল কুদ্দুছ শিপনকে পেয়ে নিঝুম খান হামলা করেন। তিনি শহর থেকে ষোলঘর এলাকায় তাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। তার মাথায় আঘাত করা হলে তিনি গুরুতর আহত হন। বতর্মানে তিনি সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে আবদুল্লাহ খান ও তার দুই ছেলে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শিপনের বড় ভাই লিটন।
সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. সহিদুর রহমান আবদুল মজিদ লিটনের অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, দুই পক্ষেরই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।