হাওর ডেস্ক::
অবশেষে যুদ্ধ থেকে সরে এসেছে চিন ও ভরিত। পূর্ব লাদাখ সীমান্তে চলমান উত্তেজনা নিরসনে পাঁচ দফা পরিকল্পনার বিষয়ে একমত হয়েছে দেশ দু’টি।
শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ার মস্কোতে ‘সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন’ সম্মেলনের পার্শ্ব বৈঠকে মিলিত হয়ে এ কথা জানান দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
নতুন এ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় দুই দেশের মধ্যে বলবৎ ১৯৯৩ এবং ১৯৯৬ সালের সীমান্ত চুক্তিগুলো মেনে চলা এবং যে কোনো ধরনের উত্তেজনা নিরসনে সীমান্তে শান্তি ও শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।
এসময়, চীনা সেনাদের আগ্রাসী ও উস্কানিমূলক আচরণের কারণেই সীমান্তে প্রতিনিয়ত উত্তেজনা বাড়ছে বলে জানান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। একইসঙ্গে, চীনা সেনাদের এমন আচরণ দ্বিপক্ষীয় চুক্তির লঙ্ঘন বলেও জানান তিনি।
গেল কিছুদিন ধরেই আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করছে লাদাখ সীমান্তে। সম্প্রতি নিজেদের শক্তি প্রদর্শনে ভারি সামরিক সরঞ্জামসহ বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করে ভারত ও চীন। সেখানে ফাঁকা গুলির ছোঁড়ার ঘটনাও ঘটে।
গেল জুনে ওই সীমান্তে দুই পক্ষের সৈন্যদের মধ্যে হাতাহাতি লড়াইয়ে অন্তত ২০ জন ভারতীয় সৈন্য নিহত হয়। এরপর থেকেই দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
আলোচনার পর দু’দেশ যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, কোন পক্ষই সীমান্তে অস্থিরতা চায় না।