হাওর ডেস্ক::
আগাম ঘোষণা না দিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় ভারত অনুতপ্ত বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আজ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগাম ঘোষণা না দিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় অনুতপ্ত ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা এটা জানত না যে এমন ঘটনার ক্ষেত্রে আগেভাগে আমাদের জানানোর কথা ছিল।
চলতি বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত থেকে হঠাৎ করেই দেশে পেঁয়াজ আসা বন্ধ হয়ে যায়। তবে ওই দিন রাতে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের মহাপরিচালক অমিত যাদব স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ১৯৯২ সালের ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য আইনের তিন ধারা অনুযায়ী পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ থাকবে। তবে পেঁয়াজের কুচি, পাউডার ও অন্য কোনো অবস্থায় পেঁয়াজ রপ্তানি অব্যাহত থাকবে।
ভারত সরকারের এই ঘোষণা দুই বন্ধুরাষ্ট্রের মধ্যে গত ২০১৯ এবং ২০২০ সালের আলোচনায় যে কথা এবং পারস্পরিক সমাঝোতা হয়, তার প্রতি অবিচার হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকায় অবস্থিত ভারতের হাইকমিশনে মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) একটি কূটনৈতিক চিঠি পাঠায়।
এদিকে পাইকারি বাজারে এক দিনের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ২০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে ৭৫ টাকা। আর আমদানি করা পেঁয়াজের কেজিতে ১৫-২০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে ৫৫-৬০ টাকা। খুচরা বাজারে কেজিতে দেশি পেঁয়াজের দাম ২০-৩০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে ৯০-১০০ টাকা। আর আমদানি করা পেঁয়াজ কেজিতে ১৫ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে ৮০-৮৫ টাকা।
সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, পেঁয়াজ আমদানিকারকদের একটি গ্রুপ সব সময় ওত পেতে থাকে, কখন ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা অজুহাতের অপেক্ষায় থাকে ওই চক্রটি।