বিশেষ প্রতিনিধি::
জলবায়ু ঝূঁকিতে থাকা সুনামগঞ্জের হাওর উপজেলা শাল্লার আগুয়াই গ্রামে ২০১৭ সালে দেশের সর্ববৃহৎ সোলার প্রকল্প স্থাপন করেছিল সরকার। জলবায়ু তহবিলের টাকায় নির্মিত এই প্রকল্পে দিনে নামমাত্র বিদ্যুৎ পেতেন এলাকাবাসী। তাই এখন আর এই নামমাত্র দুই ঘন্টার বিদ্যুৎ চাননা গ্রামের লোকজন। তারা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিতে বুধবার জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। স্মারকলিপিতে শাল্লা উপজেলার মৌরাপুর, আগুয়াই, বিলপুর ও শাসখাই গ্রামের ৬ শতাধিক গ্রাহক এই দাবি জানিয়েছেন। এলাকার ৫৩৮ জনের স্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের হাতে তুলে দিয়েছেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুবল চন্দ্র দাস।
স্মারকলিপিতে গ্রামবাসী উল্লেখ করেন, জলবায়ু ট্রাস্ট ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে ২০১৭ সালে সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত উপজেলা শাল্লার চারটি গ্রামে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সোলার প্যানেলের মাধ্যমে এলাকার ৬০০ গ্রাহককে বিদ্যুত সরবরাহ শুরু করে সরকার। প্রথমে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত গ্রামবাসীকে বিদ্যুৎ সুবিধা দেওয়া হলেও চলতি বছরের ২৭ মার্চ সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। এই বিদ্যুতে কেবল টিভি, মোবাইল ফোন চার্জ, লাইট ব্যবহার করতে পারছেন এলাকাবাসী। তারা ভারী কাজে বিদ্যুৎ ব্যবহার থেকে বিদ্যুৎ বঞ্চিত রয়েছে। পাশে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ থাকলেও এই প্রকল্পের কারণে তারা সেই সুবিধা ভোগ করতে না পারায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ও ব্যবসায়ীদের ব্যবসাসহ বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল কাজ চরমভাবে বিঘিœত হচ্ছে।
২০১৩ সালের অক্টোবরে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেলিকনফারেন্সে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পে বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এই প্রকল্পে ব্যয় হয়েছিল প্রায় ৩২ কোটি টাকা।
স্মারকলিপি প্রদানকারী সমাজসেবী ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুবল চন্দ্র দাস বলেন, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী চার গ্রামের মানুষ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না। তাই আমরা এখন পল্লী বিদ্যুতের আওতায় যেতে চাচ্ছি। তিনি বলেন, আমাদের চারগ্রাম বাদে পুরো শাল্লা এখন শতভাগ বিদ্যুতায়িত এলাকা।