স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে স্বামী পরিত্যক্তা নারীকে ধর্ষণ ও তার বাবাকে নির্যাতনের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ৫ আসামিকে বুধবার বিকেলে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। আদালত আসামিদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে এখনো মামলার প্রধান আসামি বখাটে শামীম আহমদ পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার ঘোষগাও গ্রামের বখাটে শামীম আহমদ একই গ্রামের স্বামী পরিত্যাক্তা এক নারীকে উত্যক্ত করতো। ওই নারীর কয়েক বছর আগে নবীগঞ্জে বিয়ে হয়েছিল। দুই বছর আগে স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলে তিনি পিতার বাড়ি চলে আসেন। তারপর থেকেই বখাটে শামীম ওই নারীকে নিয়মিত উত্যক্ত করতো। কয়েকবার উঠিয়ে নিয়ে ওই নারীকে ধর্ষণও করেছে সে। তার ভয়ে সম্প্রতি এলাকা ছেড়ে চলে যান ওই নারী। গত সোমবার রাতে বখাটে শামীম তার কয়েকজন সঙ্গীকে নিয়ে নারীর খোজ করতে থাকে। না পেয়ে তার বাবাকে বাড়ি থেকে খবর দিয়ে নিয়ে গিয়ে আলীগঞ্জ বাজারে বেধড়ক মারধর করে। মারধরের পর নারীর বৃদ্ধ বাবার আহাজারি সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার ভোরে ঘোষগাও গ্রামের বখাটে লিটন মিয়া, আক্কাই মিয়া, দিলাক মিয়া, নোয়াগাঁও গ্রামের কাজল মিয়া ও খাঁনপুর গ্রামের আলম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বুধবার বিকেলে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর জোন এর বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শুভজিৎ পালের আদালতে তাদের সোপর্দ করা হলে আদালত জেল হাজেত পাঠিয়ে দেন। তবে মামলার প্রধান আসামী শামীম আহমদকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে নির্যাতিতা নারী জগন্নাথপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রধান আসামি শামীমকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।