ছাতক প্রতিনিধিঃ
ছাতকে আবুল কালাম আজাদ হত্যাকান্ডের ঘটনায় আসামীদের বসতঘর গুড়িঁয়ে দেয়া হয়েছে। ১টি দালান ঘরসহ ৫টি বসতঘরের শুধু ভিটে-মাটি ছাড়া সবই লুটপাট করে নেয়া হয়েছে। গত ২৪ আগষ্ট তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের পীরপুর গ্রামের মৃত ছমির উদ্দিনের পুত্র আবুল কালামের মৃত্যু ঘটে। এ সময় পীরপুর গ্রামের মৃত জমসিদ আলীর পুত্র নূর আলী ও মৃত মদরিছ আলীর পুত্র শাহ আলমকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশ। মঙ্গলবার নিহতের বড় ভাই জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা(নং-২৮) দায়ের করে। হত্যাকান্ডের পর নিরাপত্তা ও গ্রেফতারের ভয়ে বাড়ি-ঘর ছেড়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে আত্মগোপনে চলে যায় আসামী পক্ষের লোকজন। এদিকে আসামীরা এলাকা ছাড়া হলে প্রতিপক্ষরা ক্ষিপ্ত হয়ে আনোয়ার হোসেন, শাহ আলম, নূর আলী, রাইম আলী ও আব্দুল কাহারের বসতঘর ভাংচুর করে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়। বাদী ও আসামী পক্ষ পরস্পর আত্মীয় ও পাশাপাশি বসবাস করায় আসামীদের ঘরে থাকা যাবতীয় মালামাল সহজেই নিয়ে যায় প্রতিপক্ষরা। আনোয়ার হোসেনের সেমিপাকা ঘরের দেয়াল থেকে ইট পর্যন্ত খুলে নেয়া হয়েছে। আরো ৪টি কাঁচা ঘরের মধ্যে ৩টি বসত ঘরের কোন অস্থিত্ব খোঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে আসামী পক্ষের ৫টি পরিবার এখন হয়ে পড়েছে নিঃস্ব। বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর পীরপুর গ্রামের মৃত মখলিছ আলীর স্ত্রী আলেছা বেগম বাদী হয়ে পীরপুর গ্রামের জামাল উদ্দিন, মঈন উদ্দিন, আবুল মিয়া, সালাউদ্দিন ও মোবারক হোসেনের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ আমল গ্রহনকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। বসতঘর ভাংচুর ও মালামাল লুটের ঘটনায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে জামাল উদ্দিনের দায়েরী হত্যা মামলায় ৭ আসামীর ,মধ্যে ৪ আসামী জেল হাজতে ও ৩ আসামী পলাতক রয়েছে। বাদী পক্ষের আলাউদ্দিন জানান, স্কুল-কলেজের উত্তেজিত ছাত্ররা ঘরগুলো ভেঙ্গে ফেলেছে।