বিশেষ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ৩ নং বাহাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিধান চৌধুরী ও সদ্য বদলীকৃত সচিব বিপ্লব দাসের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন দুর্নীতি অনিয়মের বিষয়ে সোমবার পরিষদের ১২ সদস্য স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ পত্র জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ এর নিকট দায়ের করেছেন। ওই পত্রে চেয়ারম্যান ও সচিবের দুর্নীতির নানা অভিযোগ উত্থাপন করেছেন ইউপি সদস্যবৃন্দ।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয় ২০১৮ থেকে ২০২০ পর্যন্ত পরিষদের গরিব অসহায় ভিজিডি কার্ডধারীদের জমাকৃত ৬ লাখ টাকা চেয়ারম্যান ও সচিব মিলে আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়াও টেক্স এর আরো কয়েক লাখ টাকার হিসাব পাওয়া যাচ্ছেনা। এসব নিয়ে অভিযোগকারী সদস্যরা বারবার বলার পরও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। পরে নিরুপায় হয়ে ইউপি সদস্যরা অভিযোগ করতে বাধ্য হন।
অভিযোগকারী সদস্য ব্রজলাল দাস বলেন, আমরা চেয়ারম্যান বিধান চৌধুরী ও বদলীকৃত সচিব বিপ্লব দাসকে বারবার বলেছি অভিযোগে বর্ণিত বিষয়গুলো সমাধান করতে। কিন্তু কে শুনে কার কথা। চেয়ারম্যান দোষ দেন সচিবের, আর সচিব দোষারোপ করেন চেয়ারম্যানকে। এই অবস্থায় আমরা ১২ জন সদস্য পরিষদের ভাবমূর্তি রক্ষার সার্থে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মুক্তাদির হোসেন এর সাথে ফোনে কথা হলে তিনি অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। বেশ কিছু দিন যাবত বাহাড়া ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে।
সোমবার বিকালে জেলা প্রশাসক মহোদয় আব্দুল আহাদ স্যার ফোনে আমাকে অভিযোগের বিষয়ে বলেছেন এবং বিষয়টি দেখার জন্য আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে তিনি এ প্রতিবেদক কে জানান।