অনলাইন ডেক্স::
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গিদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘বিপথগামীরা সুপথে ফিরে আসলে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। পুর্নবাসনে যা যা প্রয়োজন সব করা হবে।’ রবিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মহান স্বাধীনতা দিবসের শিশু-কিশোর সমাবেশে এ আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। তিনি আরো বলেন, ইসলাম হচ্ছে শান্তির ধর্ম। ইসলাম আত্মহননকে সমর্থন করে না। আত্মহননকারীর স্থান জাহান্নামে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ঢাকা জেলা প্রশাসন আয়োজিত শিশু-কিশোর সমাবেশে জেলা প্রশাসক ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক।
স্বাধীনতা দিবস প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির পিতা স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুক্তিসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।’
শিশু-কিশোরদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিশু-কিশোররা বাবা-মায়ের কথা শুনবে, অভিভাবক-শিক্ষকের কথা শুনবে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও মাদকে জড়াবে না। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ-মাদকের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস-মাদক-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে।’
শিশুদের ভবিষ্যত নেতৃত্বের জন্য তৈরি হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকের শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আজকের শিশুরাই আগামী দিনের মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী। আগামী দিনের নেতৃত্ব। সুতরাং নিজেদের সেভাবে গড়ে তুলতে হবে।
বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘লাখো শহীদের রক্তে স্বাধীনতা পেয়েছি। আমরা বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। জাতির পিতা তার ভাষণে বলে গিয়েছিলেন বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না।’
৭৫ পরবর্তী শাসকদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে আমরা দেশ গঠনে কাজ শুরু করি।’ প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাধন জানিয়ে কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করে। প্রধানমন্ত্রী সালাম গ্রহণ করেন। এরপর মনোজ্ঞ ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হয়।