একজন মান্নান একদিনে তৈরী হয় নি। অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে ঝড়-ঝান্ডা মোকাবেলা করে আজ তিনি সুনামগঞ্জ-৩(দক্ষিণ সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর) আসনের মাননীয় সাংসদ ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী। তিনি সারাদেশের মন্ত্রী, ডুংরিয়ার মন্ত্রী নন। তিনি ভাটিবাংলার সিংহপুরুষ,হাওরাঞ্চলের মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু, উন্নয়নের রূপকার,সজ্জন ব্যক্তি এম.এ.মান্নান। ডুংরিয়া তে ৭তলা একটি স্কুল ভবন ছাড়া তেমন কোন উন্নয়ণ চোখে পড়ে না। টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট সুলতানপুরে। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ সুনামগঞ্জ সদরে। শান্তিগঞ্জ নতুন একটি উপজেলা হিসেবে ছোটখাটো উন্নয়ন হওয়াটা তো স্বাভাবিক ব্যাপার। সুনামগঞ্জ জেলায় উনার উন্নয়ন আমার জানামতে পলাশ স্কুল এন্ড কলেজে ৭ কোটি টাকা, ইসলামগঞ্জ কলেজে ৭ কোটি টাকা, সুনামগঞ্জ পৌর কলেজে ৭ কোটি টাকা, সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানের দৃষ্টিনন্দন উন্নয়নের জন্য ১ কোটি টাকা, সুনামগঞ্জে একটি অত্যাধুনিক অডিটোরিয়াম নির্মানের জন্য ৩০ কোটি টাকা,জাদুকাটা নদীর উপরে সুনামগঞ্জের সবচেয়ে বড় সেতু নির্মান, সুনামগঞ্জ-ধর্মপাশা-মধ্যনগর-নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ সড়কে ফ্লাইওভার নির্মানের প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় , সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন,হবিগঞ্জ থেকে আজমিরীগঞ্জ, আজমিরীগঞ্জ থেকে শাল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের মাধ্যমে ভাটি এলাকার উন্নয়নের জন্য একনেকে এই প্রকল্পগুলো অনুমোদন হয় এবং ঢাকার সাথে দুই ঘন্টার দূরত্ব হ্রাস পায়, জেলা সদরে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জন্য ১২ তলা ভবন নির্মাণ,,,,, এসবই এম.এ.মান্নান মহোদয়ের হাত ধরে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে তিনি শান্তিগঞ্জে কি নিয়ে গেলেন, এসব বলে একজন মানুষকে উন্নয়নে অসহযোগিতা করা মানে সুনামগঞ্জের সাধারণ মানুষের ক্ষতি করা।
বিশ্ববিদ্যালয় কোথায় হবে?
একটি বিশ্ববিদ্যালয় কোথায় হবে সেই জায়গা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সরকার ১০০ বছর সামনে রেখে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেমন সারা জেলার ১১টি উপজেলার ছাত্রছাত্রীদের সুবিধা, সকল উপজেলার সাথে সহজে যোগাযোগ করার সুযোগ,একটি নির্জন ও খোলামেলা জায়গায় ক্যাম্পাস ইত্যাদি বিষয় নিয়ে গবেষণা করে নির্ধারণ করে, আমাদের মন্ত্রী মহোদয় ও তা মনে করেন এবং আমাদের সাথে কথা হয়েছে।
এখন প্রশ্ন হলো বিশ্ববিদ্যালয় কোথায় হবে এ নিয়ে জনঅসন্তোষ সৃষ্টি হবে এসব বলার বা লিখার কি মানে?
এম.এ.মান্নান সাহেবের মত মন্ত্রী বারবার আসবে না। যে মান্নান সাহেব কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা হাওরাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন, আমাদের সবার উচিত সুনামগঞ্জের উন্নয়নে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় কে সহযোগিতা করা ও সুপরামর্শ দেওয়া, সমালোচনা করা নয়। জয় হউক সুনামগঞ্জবাসীর। জয় বাংলা…..।
লেখক: সিরাজুর রহমান সিরাজ
সাংগঠনিক সম্পাদক
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
সুনামগঞ্জ জেলা শাখা।