হাওর ডেস্ক::
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক আর নেই। শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে আটটার দিকে রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মহাসচিব ডা. নাহিদ ইয়াসমিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সকাল সাড়ে আটটার দিকে স্যার (রফিক-উল হক) মারা গেছেন। তার পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। আদ-দ্বীন হাসপাতাল প্রাঙ্গণে প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর লাশ তার বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে বাদ জোহার তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে লাশ নিয়ে যাওয়া হবে। দাফন কোথায় হবে এটা তার পরিবার সিদ্ধান্ত নেবে। এ বিষয়ে আমরা কিছু জানি না।’
রক্ত শূন্যতা ও প্রস্রাবের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত জটিলতা দেখা দেয়ায় গত ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় মগবাজারের আদ-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় প্রখ্যাত এই আইনজীবীকে। অসুস্থতা নিয়ে রাজধানীর মগবাজারে অবস্থিত আদ-দ্বীন হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
গত ১৭ অক্টোবর কিছুটা সুস্থবোধ করলে সকালের দিকে রিলিজ নিয়ে বাসায় ফিরে যান। এরপরে দুপুরের পরপরই ফের তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
জানা গেছে, রক্তশূন্যতা, ইউরিন সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন প্রবীণ এই আইনজীবী। তিনি ডা. রিচমন্ড রোল্যান্ড গোমেজের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেলেন।
এর আগে গত জুনে ডায়াবেটিস কমে যাওয়ায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তখনো আদ-দ্বীন হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। তখন তিনি পল্টনের বাসায় অবস্থান করেই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন।
ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ১৯৩৫ সালের ২ নভেম্বর কলকাতার সুবর্ণপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে একই বছরের ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ছিলেন রাষ্ট্রের ষষ্ঠ প্রধান আইন কর্মকর্তা (অ্যাটর্নি জেনারেল)। ২০১৭ সালে বাম পায়ের হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের পর থেকে তার চলাফেরা সীমিত হয়ে পড়ে। এ কারণে তিনি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেননি।