বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় রাজাকারকে মুক্তিযোদ্ধা সনদ প্রদান করার অভিযোগে ক্ষোভে ফুসছেন মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযোদ্ধারা সনদ ও গেজেট বাতিলের দাবিতে বুধবার দুপুরে দোয়রাবাজার উপজেলা পরিষদের সামনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ও মানববন্ধন করে এই দাবি জানান। দোয়ারাবাজার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও সন্তান কমান্ড কর্মসূচি পালন করেন। রাকাজারের নামে প্রদান করা মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও গেজেট বাতিল না করলে আমরণ অনশনের হুমকি দেন মুক্তিযোদ্ধারা।
প্রায় ঘন্টাব্যাপী চলা মানববন্ধনে মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়়নের বীরসিং গ্রামের মৃত গোলাম ফকিরের ছেলে আলা উদ্দিন মুক্তিযোদ্ধা নন। একাত্তরে তিনি় মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর দোসর হয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় আলাউদ্দিন ও তার সহযোগীরা বীরসিং গ্রামের গোপাল চন্দ্র সরকারের বাড়িতে আক্রমণ করে ও তাকে গুলি করে হত্যা করে। শেষে গ্রামে লুটপাট করে অগ্নিসংযোগ করে। মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আলা উদ্দিন আতœগোপনে চলে যান। পচাত্তরের পর এলাকায় ফিরে আসেন। পরবর্তীতে দুষ্কৃতিকারীদের সহায়তায় মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা বনে যান। এ ঘটনার প্রতিবাদে ইতোমধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার ভাতা সাময়িক বন্ধ করা হয়। মুক্তিযোদ্ধারা অবিলম্বে আলা উদ্দিনের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিলের দাবি জানান।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুর রহিম, আব্দুল হালিম বীরপ্রতীক, সাবেক জেলা ইউনিট কমান্ডার নূরুল মোমেন, সাবেক অর্থ কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আব্দুর রশীদ, দোয়ারাবাজার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সফর আলী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মনফর আলী, সাবেক অর্থ কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক, সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা উমর আলী, মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম মাস্টার, মুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেন মাস্টার, মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবির, দোহালিয়া ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারিস আলী, বাংলাবাজার ইউনিয়ন কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারিক, লক্ষীপুর ইউনিয়ন কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মকবুল আহমদ, নরসিংপুর ইউনিয়ন কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা চাঁন মিয়া, মান্নারগাঁও ইউনিয়ন কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা প্রীতিশ চক্রবর্তী, সদর ইউনিয়ন কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা প্রবীর মিত্র, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড নেতা সোহেল আহমেদ মিন্টু প্রমুখ।